• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ৬, ২০২২, ১১:৫৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ৬, ২০২২, ১১:৫৬ পিএম

‘মানুষের গায়ে হাত দিলে জবাব দেয়া হবে’

‘মানুষের গায়ে হাত দিলে জবাব দেয়া হবে’
সংগৃহীত ছবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কেউ রাজনীতি করতে চাইলে সুষ্ঠু রাজনীতি করুক। আমাদের আপত্তি নেই। তবে কোনো মানুষের গায়ে হাত দিলে তার জবাব দেওয়া হবে।

রোববার (৬ নভেম্বর) জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘অগ্ন সন্ত্রাসের আর্তনাদ : বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের খণ্ডচিত্র’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন তিনি। 

জাতীয় যাদুঘরে ২০১৩,১৪, ১৫ সালের আগুন সন্ত্রাসের শিকার ভিকটিমদের কথা শুনতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে আওয়ামলী লীগ।

অনুষ্ঠানে আগুন সন্ত্রাসের ক্ষত নিয়ে বেঁচে যাওয়া ও নিহতদের স্বজনরা শেখ হাসিনাকে কাছে পেয়ে বিচারের দাবি জানান।

তারা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের আগুন সন্ত্রাসে সাধারণ মানুষের প্রাণহানী ঘটনায় তাদের কঠোর বিচার করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দলমত নির্বিশেষে এই ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে কেউ ঘটাতে না পারে সেজন্য সজাগ থাকতে হবে। 

শেখ হাসিনা প্রশ্ন রেখে বলেন, যারা ধ্বংসাত্মক কাজ করতে পারে ও কষ্ট দিতে পারে তাদের পাশে মানুষ কীভাবে দাঁড়ায়? কীভাবে সমর্থন করে?

সরকার উৎখাতের নামে ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাস হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, কীভাবে মানুষ মারে? একটা গাড়িতে যাচ্ছে জীবন্ত মানুষগুলো। সেখানে আগুন ধরিয়ে মানুষকে হত্যা করা। কীভাবে মানুষ পারে মানুষের ক্ষতি করতে? এটাই নাকি আন্দোলন! এই আন্দোলন তো আমরা কখনও দেখিনি।

সরকারপ্রধান বলেন, বিএনপি ঘোষণা দিল অবরোধ এবং হরতাল। কিন্তু কাজ হলো মানুষকে হত্যা করা। আজ এখানে যারা উপস্থিত তারা তো সামান্য কয়েকজন। ২০১৩ সালের তিন হাজার ৬০০ জমের মতো মানুষকে পেট্রোলবোমা মেরে আহত করেছে। ২০১৪ ও ১৫ সালেও করেছে। একইভাবে গাড়ি পুড়িয়ে মানুষের জীবন-জীবিকা শেষ করে দিয়েছিল। এটা কী রকম আন্দোলন। সেটাও জানি না।

২০১৩ সালে আন্দোলনের নাম বিএনপি মানুষ খুন করা শুরু করেছিল বলে দাবি করেন শেখ হাসিনা বলেন, প্রায় ৫০০ মানুষ আগুনে পুড়ে মারা গেছে এবং সাড়ে তিন হাজার মানুষ আহত হয়েছিল। 

এ সময় দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই দুঃসময়ের কথা যেন কেউ ভুলে না যায়। একই সঙ্গে অগ্নিসন্ত্রাসে নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি আহতদের জন্য সাধ্যমতো কাজ করে যাওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি। 

অনুষ্ঠানের শুরুতে ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট কর্মসূচির নামে আগুন-সন্ত্রাস করেছিল দাবি করে সেসব ঘটনার ভিডিওচিত্র তুলে ধরা হয়। পরে শেখ হাসিনা ওইসব ঘটনায় অগ্নিদগ্ধ ও মারা যাওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলেন। অনেক তাদের কষ্টের কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এসময় তাদের সমবেদনা জানান তিনি।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সাবেক সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আগুন সন্ত্রাসে আহত ও নিহতদের পরিবারের সদস্য এবং পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে সামরিক আদালতে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত বিমান বাহিনীর সদস্যের স্বজনরা।

জাগরণ/রাজনীতি/আওয়ামীলীগ/এসএসকে