• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২২, ২০১৯, ০৮:১০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২২, ২০১৯, ০৮:১০ এএম

আজ ১৬ই রমজানুল করীম 

রমজানে বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করুন

রমজানে বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করুন

মহাগ্রন্থ আল কোরআন এবং রমজান শরীফের সম্পর্ক খুবই সুনিবিড়। মহান রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনে ঘোষণা করেন যে, রমজান হল সেই মাস যাতে অবতীর্ণ করা হয়েছে মহাগ্রন্থ আল কোরআন। যা মানুষের জন্য হেদায়াত এবং সৎ পথযাত্রীদের জন্য সুস্পষ্ট পথ নির্দেশকারী। আর ন্যায় ও অন্যায়ের মাঝে পার্থক্য বিধানকারী। (সুরায়ে বাক্বারা -১৮৫)। 

শুধু কোরআন শরীফ নয় বরং আল্লাহ পাক এ মাসটিকে স্বীয় ওহী ও আসমানী কিতাবসমূহ নাজিলের জন্য নির্বাচিত করেছেন। মসনদে ইমাম আহমদে হযরত ওয়াছিলা ইবনে আছকা (রা.) থেকে বর্ণনা করা হয়েছে যে, হযরত ইমামুল আম্বিয়া নবীয়ে করীম (সা.) বলেছেন যে, হযরত ইব্রাহীম (আ.)-এর উপর সহীফা অবতীর্ণ হয়েছিল প্রথম রমজান। আর রমজানের ৬ তারিখ তাওরাত, ১০ তারিখ ইঞ্জিল এবং ২৪ তারিখে মহাগ্রন্থ আল কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে। 

হযরত জাবের (রা.) এর রেওয়াতে বলা হয়েছে জবুর রমজনের ১২ তারিখ। কিন্তু মহাগ্রন্থ আল কোরআন। প্রতি রমজান মাসে হযরত জিব্রাইল (আ.) আসতেন নবীয়ে করীম (সা.) এর খেদমতে। তিনি হযরত জিব্রাইলে আমীনকে কোরআন শরিফ পাঠ করে শুনাতেন। হযরত সাহাবায়ে কেরাম (রা.)-এর সময় থেকে এখন পর্যন্ত হযরত উলামায়ে কেরামগণের নিয়মিত অভ্যাস যে, রমজান মাসে কোরআনের খেদমতে বেশি সময় ব্যয় করতেন। কোরআন তেলাওয়াত করতেন, মুখস্ত করতেন, বুঝার চেষ্টা করতেন, অধ্যায়ন ও অধ্যাপনায় ব্যস্ত থাকতেন। আমদেরও উচিত পবিত্র রমজান মাসে বেশি বেশি করে কোরআন তেলাওয়াত করা। 

কোরআন শরীফে অবতীর্ণ হয়েছে- আমাদের হেদায়াতের জন্য দ্বীন ও দুনিয়ার সাফল্যের পূর্বশর্ত হিসেবে আমাদিগকে হেদায়াত কোরআন শরীফ থেকে গ্রহণ করতে হবে। নবীয়ে করীম (সা.) বলেন যে, কোরআন ব্যতীত অন্য কোথাও হেদায়াত তালাশ করলে, আল্লাহপাক তাকে পথভ্রষ্ট করে দেবেন। পবিত্র রমজান শরীফে সামান্যতম সৎকর্মের বিনিময়ে অন্য মাসের ফরজতুল্য সমান ছওয়াব পাওয়া যায়। এমনিভাবে কোরআন শরীফের প্রতিটি হরফের দশটি করে নেকী প্রদান করা হয়। নবীয়ে করীম (সা.) বলেন যে ব্যক্তি কিতাবুল্লাহ অর্থাৎ আল কোরআনের একটি হরফ তেলাওয়াত করেছে, সে একটি নেকি পেয়েছে। প্রতিটি নেকি দশ থেকে সাতশ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পায় আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামীন পবিত্র কোরআনুল করীমে ঘোষণা করেন যে, আমি মহাগ্রন্থ আল-কোরআনকে সহজ করে দিয়েছি বুঝার জন্য, অতএব কোনো চিন্তাশীল আছো কী? (সুরায়ে আল ফোরকান  ৫৪-১৭) এই আয়াতে যিকির শব্দে দুই অর্থ- এক মুখস্ত করা, দুই উপদেশ ও শিক্ষা অর্জন করা। 

অতএব কোরআন নাযিলের মাস রমজানুল করীমে আমরা বেশি বেশি করে কোরআন শরীফের অর্থ বুঝে কিতাবুল্লাহ শরিফ তেলাওয়াত করি। আমীন ছুম্মা আমীন। 

এফসি