• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ১, ২০১৯, ০৯:৩৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১, ২০১৯, ০৯:৩৪ পিএম

পবিত্র শবে কদর পালিত হচ্ছে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে 

পবিত্র শবে কদর পালিত হচ্ছে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে 
পবিত্র লাইলাতুল কদরে রাজধানীর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে নামাজরত মুসল্লিরা - ছবি : জাগরণ

আজ পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবে কদর। এই রাতে পবিত্র কোরআন নাজিল হয়েছে। ইসলাম ধর্মমতে এই রাতের তাৎপর্য ও মর্যাদা অনেক বেশি। কোরআনের ভাষায়, এই রাতের মর্যাদা হাজার মাসের চেয়ে বেশি। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে রাতটি উদযাপিত হচ্ছে। 

পবিত্র শবে কদর উপলক্ষে মসজিদে মসজিদে মুসল্লিদের ভীড় লক্ষ করা গেছে। মাগরিবের পর থেকেই শুরু হয়েছে শবে কদরের আনুষ্ঠানিকতা। চলবে সারারাত। ফজরের নামাজের পর বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পবিত্র এই রাতের উদযাপন।

তারাবির নামাজের পর থেকে শবে কদরের নামাজ আদায় করতে মুসল্লিরা সমবেত হয়েছেন মসজিদে মসজিদে। বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে। বিভিন্ন মসজিদে ওয়াজ মাহফিলও অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

শবে কদরের তাৎপর্য :

রমজানের শেষ দশকের যেকোনো বেজোড় রাতে লাইলাতুল কদর হতে পারে। তবে হাদিস শরিফের বর্ণনা অনুযায়ী ২৬ রমজান দিবাগত রাতটি পবিত্র লাইলাতুল কদর হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। মহিমান্বিত এ রাতের ফজিলতের সঙ্গে অন্য কোনো রাতের তুলনা হয় না। লাইলাতুল কদর বা শবে কদর অর্থ সম্মান ও মর্যাদাপূর্ণ রাত। বছরের যে কয়টি দিন ও রাত বিশেষভাবে মহিমান্বিত, এর মধ্যে সর্বাপেক্ষা উত্তম ও ফজিলতপূর্ণ এই শবে কদর। পবিত্র রমজানের এ রাতে লাওহে মাহফুজ থেকে নিম্ন আকাশে মহাগ্রন্থ আল কোরআন অবতীর্ণ হয়। কোরআন নাজিলের মাস হিসেবে রমজান যেমন বিশেষ মর্যাদায় ভূষিত, তেমনি কোরআন নাজিলের কারণেই শবে কদর অতি ফজিলত ও তাৎপর্য বহন করে। কোরআনে বলা হয়েছে, ‘তুমি জান লাইলাতুল কদর কী? লাইলাতুল কদর হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। সেই রাতে ফেরেশতারা ও রূহ (জিবরাইল) তাদের রবের অনুমতিক্রমে সব সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতরণ করেন।’

এমএএম/এফসি