• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯, ০৯:১৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৯, ০৯:১৬ পিএম

৪ বছরেও হয়নি তাজিয়া মিছিলে গ্রেনেড হামলার বিচার

৪ বছরেও হয়নি তাজিয়া মিছিলে গ্রেনেড হামলার বিচার

২০১৫ সালের ২৩ অক্টোবর আশুরার তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতি ও রওনা হওয়ার সময় পুরান ঢাকার ঐহিত্যবাহী হোসেনি দালানে গ্রেনেড হামলা চালায় জেএমবি। এ হামলায় সাজ্জাদ হোসেন সঞ্জু ও জামাল হোসেন নামে দুজন নিহত হয়। হামলার আগে জঙ্গিরা ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকা পর্যবেক্ষণ (রেকি) করে হামলার চূড়ান্ত পরিকল্পনা করে। মামলাটি তদন্ত শেষ করে চার্জশিট দেয়ায় প্রক্রিয়া চলছে। তবে ৪ বছরেও মামলার বিচারকার্য সম্পন্ন হয়নি। কারা, কী কারণে, কীভাবে হামলার পরিকল্পনা করে- এর সব কিছু বেরিয়ে এসেছে গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে।

এ বিষয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলার উদ্দেশ্য ছিল মূলত ধর্মীয় বিদ্বেষ সৃষ্টি করা। এতে রাষ্ট্রের ভেতরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে। একটি শ্রেণি ফায়দা লুটার জন্য এ কাজে জঙ্গিদের ব্যবহার করে। এর বাইরে আপাতত কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। কেননা মামলাটির তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট জমা পড়েছে।

পুরান ঢাকায় মোঘল আমলে ১৭শ শতকে প্রতিষ্ঠিত হয় হোসেনি দালান। এটি শিয়া সম্প্রদায়ের একটি উপাসনালয় ও কবরস্থান। ইমারতটি হযরত মুহাম্মদ (স.)–এর পৌত্র ঈমাম হোসেনের কারবালা প্রান্তরে মৃত্যুবরণ স্মরণে নির্মিত। প্রতি বছর আশুরায় ইমামবাড়ার তাজিয়া মিছিল এখান থেকে শুরু হয়।

পুলিশের চার্জশিটে দেখা গেছে, বোমা হামলার ১২ দিন আগে জঙ্গিরা বৈঠকে মিলিত হয়। হামলার আগে ২০১৫ সালের ১৬ অক্টোবর আসামি মাসুদ, রুবেল, আশিক, হিরণ ও সোলায়মান ঘটনাস্থল ও আশপাশের এলাকা পর্যবেক্ষণ (রেকি) করে। পরে তারা অন্য জঙ্গিদের সঙ্গে নিয়ে হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করে। আসামি আলবানি ওরফে শাহাদত ওরফে মাহফুজ ওরফে হোজ্জা, আবদুল্লাহ বাকি ওরফে আলাউদ্দিন ওরফে নোমান, সাঈদ ওরফে হিরণ ওরফে কামাল ছিল হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী। এই ৩ জনই বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছে। মাসুদ রানাও পরিকল্পনায় অংশ নেয়।

পরিকল্পনা অনুযায়ী জঙ্গিরা হোসেনি দালানের কাছাকাছি ঘর ভাড়া করে। জেএমবির মোট ১৩ জন জঙ্গি এ ঘটনায় জড়িত ছিল। এদের মধ্যে জঙ্গি চাঁন মিয়া, মানিক, শাহজালাল, কবীর হোসেন ও সুমন প্রত্যক্ষভাবে হামলায় অংশ নেয়। অন্যরা পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক শফিউদ্দিন বলেন, প্রথমে মামলাটি তদন্ত করতে বেশ বেগ পেতে হয়। তবে ওই সময় সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজন জঙ্গিকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তারা প্রাথমিক তথ্য দেয়। পরে বেরিয়ে আসে- জঙ্গিরাই মূলত এ হামলা করে।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ইমামবাড়ায় তাজিয়া মিছিল প্রস্তুতির সময়ে রাত দেড়টার দিকে কবরস্থানের পশ্চিম গেটে তিন দফা বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এসময় সানজু (১৬) নামে এক স্কুলছাত্র এবং জামাল হোসেন (৫০) নামে দুজন নিহত হন। ওই ঘটনায় আয়াজ নামে এক যুবকের পা কেটে ফেলা হয়। আহত হয় সিয়া ও সুন্নী মিলে প্রায় শতাধিক মানুষ।

এইচ এম/ এফসি

আরও পড়ুন