• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৪ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০, ০৩:১১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০, ০৩:১১ পিএম

রংপুর ও দিনাজপুরকে নিজেদের দেখিয়ে নেপালের নতুন মানচিত্র! 

রংপুর ও দিনাজপুরকে নিজেদের দেখিয়ে নেপালের নতুন মানচিত্র! 

ভারতের উত্তরাখন্ডের কালাপানি, লিপুলেখ ও লিমপিয়াধুরা অঞ্চলকে নিজেদের মানচিত্রে সংযোজন করে আগেই ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছিল নেপাল। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের  সঙ্গে এই নিয়ে তিক্ততার ভেতরেই বাংলাদেশের দুইটি জেলা নিজেদের দেখিয়ে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছে নেপালের জাতীয়তাবাদী সংগঠন জিএনএনএফ।  

বিস্ময়ের এখানেই শেষ নয়, গ্রেটার নেপাল নামে সেই ম্যাপে বাংলাদেশের রংপুর ও দিনাজপুরও সেই  মানচিত্রে পাকিস্তান অধিকৃত নেপালের অংশ বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ভারতের সিকিম, দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, দিনাজপুর ছাড়াও পাটনা, কাটিহার, পূর্ণিয়া সহ বিহারের প্রায় গোটা অংশ, সিমলা, উত্তর কাশী, দেরাদুনকেও নেপালের এলাকা হিসাবে দেখানো হয়েছে।

ভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী ভারতের গোয়েন্দাদের দেয়া তথ্যমতে, গত এক বছরে চারবার চীনে গিয়ে বৈঠক করে এসেছেন জিএনএনএফ-এর চেয়ারম্যান ফণীন্দ্র নেপাল। চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও নাকি ফণীন্দ্র নেপালের বৈঠক হয়েছে।  গ্রেটার নেপালের নামে ম্যাপ প্রকাশের পিছনে চীনের মদদ রয়েছে বলে ভারতীয় গোয়েন্দারা দাবি করছে। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়কে গ্রেটার নেপালের নতুন মানচিত্রের বিষয়ে জানানো হয়েছে।   

নেপালের নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে আলোচনার জন্ম দেয়া জিএনএনএফ সংগঠনটি নেপালে এনজিও হিসেবে নথিভুক্ত রয়েছে। এর আগে তারা ২০১৬ সালের ২৮ নভেম্বর রাষ্ট্রসংঘের মহাসচিবকে চিঠি লিখে ভারতের ভূমিকার কড়া সমালোচনা করে আলোচনার কেন্দ্রে এসেছিল। 

নেপালের সবছেয়ে বড় মিডিয়া গ্রুপ কান্তিপুরের একটি সাপ্তাহিক প্রকাশনায়  ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল ‘গ্রেটার নেপাল নিয়ে সবুজ সংকেত দিল চীন’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সীতারাম বড়াল নামে এক সাংবাদিক সেই প্রতিবেদনে ফণীন্দ্রর চীন যাওয়ার কথা প্রকাশ্যে আনেন। 

সেই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, বেইজিংয়ে আমন্ত্রণেই ফণীন্দ্র সেদেশে গিয়েছিলেন। চীনের শীর্ষস্তরের কমপক্ষে ৫০ জন কর্মকর্তার সঙ্গে গত এক বছরে ফণীন্দ্র বৈঠকে বসেছিলেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। চীনে গিয়ে গ্রেটার নেপালের ম্যাপও বিভিন্ন দপ্তরে দিয়ে এসেছেন জিএনএনএফ চেয়ারম্যান।

এসইউ