• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৪, ২০১৯, ০৪:০৯ পিএম

দুই গ্রুপের সিদ্ধান্ত

বিশ্ব ইজতেমা ১৫, ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি

বিশ্ব ইজতেমা ১৫, ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি
বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিরা- ফাইল ছবি

 

মাওলানা সাদ কান্দলভী ও মাওলানা জুবায়ের গ্রুপের অনুসারীদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৫, ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজমেতা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ জানুয়ারি) বেলা পৌঁনে ৪টায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ে দুই গ্রুপের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় । বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ।

বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব আবেদীন উপস্থিত ছিলেন। 

বৈঠক শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘ দিন তাবলীগ জামাতের বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘাতের কারণে ইজতেমা দুই ভাগে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছিলো। অবশেষে আমরা বিবাদমান দুই গ্রুপকে নিয়ে বৈঠক করে সমঝোতা করতে সক্ষম হয়েছি।

মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি শুকরিয়া জানিয়ে শেখ মো. আব্দুল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক প্রচেষ্টা ছিলো, সবাইকে নিয়ে অভিন্ন একটি ইজতেমার। আল্লাহর অশেষ রহমতে সে কাজটি করতে সক্ষম হয়েছি। এখন একক এবং অভিন্ন ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সমঝোতা তো দুরের কথা, বিবাদমান দুই গ্রুপকে বসানোই যাচ্ছিলো না। শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নির্দেশনার পর গতকাল (বুধবার) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাদের নিয়ে বৈঠক করতে সক্ষম হই। সে বৈঠকেই তাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া নিশ্চিত হয়। আর আজ চুড়ান্ত তারিখ নির্ধারণ করা হলো।’
 
তিনি বলেন, ‘আমরা বিবাদমান দুই গ্রুপের ওপর কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেইনি। ইজতেমা জন্য দুই গ্রুপ ভিন্ন ভিন্ন তারিখ প্রস্তাব করেছিলো। আমরা সে তারিখ নিয়ে আলোচনা করে মধ্যবর্তী একটি তারিখ নির্ধারণ করি, যার প্রতি সকলে সম্মতি জানায়।’

তিনি আরো বলেন, ‘এত বড় একটি ধর্মীয় একটি কাজ আবার আমরা একত্রে করতে পারছি, দুই গ্রুপ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। সারা বিশ্ব দেখবে আমাদের দেশে তাবলীগ জামাত নিয়ে আর কোনো সংঘাত নেই। সে কারণেই সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এক পর্বেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে ইজতেমা।’

অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বের মুসলমানরা এ ইজতেমায় অংশ নেন। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যদি মনে করে যে, কোনো বিশেষ ব্যক্তি এলে ইজতেমার পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে, সে বিষয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।’

এমএম/বিএস