• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ৭, ২০১৯, ০৭:০৭ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ২৯, ২০২১, ১০:০৭ পিএম

চাঁদে অভিযান ও এলিয়েন রহস্য

চাঁদে অভিযান ও এলিয়েন রহস্য

মো. মির-হোসেন সরকার

মানব সভ্যতার জন্য চাঁদে অভিযান ছিল উল্লেখযোগ্য এক পদক্ষেপ। পৃথিবীর উপগ্রহটির ১৯৬০ সালে প্রথম নবযান পাঠায় রাশিয়া। সেই বার মানুষ না গেলেও ১৯৬৯ সালে নভোযান অ্যপোলো ১১ তে ৩ নভোচারী(নিল আর্মস্ট্রং,এডুইন অলড্রিন,মাইকেল কলিন্স )কে পাঠায় মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা  ।


সেই বছরের ২১ জুলাই চাঁদের পিঠে প্রথম পা রাখলেন “নিল আর্মস্ট্রং” সেই অভিযানের পর থেকে  ১৯৭২ সাল পর্যন্ত ৬ বার  চাঁদের বুকে মানুষের পা  পড়েছে। তবে নাসা এরপর আর কোন চন্দ্র অভিযান পরিচালনা করেনি। হঠাৎ করে চাঁদের প্রতি নাসার আগ্রহে ভাটা পরায় পেছনের কারন অনুসন্ধানে অনেকেই বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন দেখা দেয়। যদিও চাঁদে অবতরন নিয়ে আবারো আগ্রহী হয়ে উঠেছে বিভিন্ন দেশ।  কিছু দিন আগে চীনের  পাঠানো রোবটযান চাঙ-আ ৪ চন্দ্র অভিযান শেষ করে।  চন্দ্র ভ্রমনের পরে এখন সবার আগ্রহ মঙ্গল গ্রহের প্রতি । কিন্তু চন্দ্র ভ্রমনের পর্ব আর ওঠেনি  ।

তবে দীর্ঘ সময় চাঁদে অভিযান না চালানোর বিষয়ে এলিয়েন বিশ্বাসীদের দাবি, চাঁদে যারা গিয়েছিলেন তারা এলিয়েনদের দেখা পেয়েছিলেন। চাঁদের বুকে এমনসব এলিয়েনদের স্থাপনা দেখতে পেয়েছিলেন, যা তাদের বিস্মিত করে। শুধু তাই নয় একটানা ৬ অভিযানে এলিয়েনদের কাছে হুমকিও পান। আর সেই কারনে চাঁদ নিয়ে আগ্রহ দেখা যায়নি নাসাসহ বিশ্বের কোন সংস্থার। এসব দাবিকে আর শক্ত ভিত্তি দিয়েছেন এমন কয়েকজন ব্যক্তি যারা এক সময় চাঁদে গিয়েছিলেন। অ্যপোলো ১৪ তে চাঁদে যাওয়া কয়েকজন নভোচারি  এ বিষয়ে একাধিকবার মুখ খুলেছেন।

 

চন্দ্র অভিযানে এ্যাডগার ডি মিশেল জানিয়েছিলেন যখন আমি উপগ্রহ মাটিতে হাঁটছিলাম তখন আমার বিশ্বাস দৃঢ় হয় যে, আমি সেখানে একা নই আমাকে কেউ দেখছে এবং কেউ অনুসরণ করছে , আমি জানিনা তারা কতজন ছিলো এবং তারা কোথায় থেকে কিভাবে আমাদের ওপর নজর রাখছিলো তাও জানিনা, তারা আমাদের দেখছিল। এই নভোচারি দাবি করেন অভিযান কালে তাদের নজরে একটি নয়, দুটি নয়, একাধিক নভোযান চোখে পড়ে। একই ধরনের দাবি আরো কয়েক নভোচারির কেউ আছে তা তিনি প্রতি মুহুর্তে উপলদ্ধি করেছিলেন। অ্যপোলো ১১ অভিযান কালে তাদের  শাটলজান কে ঘিরে বেশ কিছু রহস্যময় আলো উপস্থিতে তিনি ঘুরতে দেখেন। এই ধরনের আলো তিনি চাঁদে অনেকস্থানে দেখেছিলেন।

যা দেখে তার মনে হয়েছে সেসব যানগুলোকে আমরা,  “ইউনাইটেড প্লানিং ওরগানাইজেশন” বলে থাকি তার আলোও হতে পারে। তবে এলিয়েন বিশ্বাসীদের মত হচ্ছে চাঁদে যে উন্নত প্রাণের অস্থিত রয়েছে তা (নাসা) ঠিকই বুঝতে পেরেছে। কিন্তু এখনো তারা কোন সিদ্ধান্তে আসতে পাছে না বলে তার যৎসামান্য প্রমান থালেও পুরোপুরি তথ্য প্রমান ছাড়া তারা সামনে আসছে না বা এখনও মানুষেরে সামনে আনার উপযোগী সময় বলে তারা মনে করছে না।