• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২০, ১০:৩৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ২৮, ২০২০, ১১:৩২ পিএম

গোপন তথ্য পাচারের আশঙ্কা

রেডিয়েশন আতঙ্ক নিয়ে পাকিস্তানী ভয়েজ ক্লিপের গুজব

রেডিয়েশন আতঙ্ক নিয়ে পাকিস্তানী ভয়েজ ক্লিপের গুজব
প্রতীকী ছবি

চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে মহাকাশ থেকে ছড়িয়ে পড়তে যাচ্ছে শক্তিশালী সুপার নোভা রেডিয়েশন, যা বিশ্বব্যাপী মানব সম্প্রদায়ের ওপর চরম তেজষ্ক্রিয় প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে যাচ্ছে। গোপন পাকিস্তানী সূত্র হতে ছড়িয়ে পড়া এমনই এক ভয়েজ ক্লিপের গুজবে তোলপাড় নেট পাড়া।

ফ্রি লেন্স ওয়েব সার্ফার খন্দকার মাহমুদুল হক সুমিত- দৈনিক জাগরণ

মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) বিষয়টি চোখে পড়তেই এ ব্যাপারে দৈনিক জাগরণের টেক-ডেস্কের শরণাপন্ন হন খন্দকার মাহমুদুল হক সুমিত নামের এক সচেতন নেটিজেন।

এ প্রসঙ্গে জাগরণকে তিনি বিষয়টির সত্যতা অনুসন্ধানের অনুরোধ জানালে নাসার অফিশিয়াল ওয়েব সাইটসহ বিভিন্ন সূত্রে অনুসন্ধান করে জানা যায় যে বিষয়টি আসলে গুজব মাত্র।

অনলাইনে ভাইরাল হওয়া এই ভয়েজ ক্লিপের কন্ঠ শুনেই পরিষ্কার বোঝা যায় যে বক্তা কোনো পাকিস্তানী নাগরিক। এ ছাড়া যে সূত্র হতে ক্লিপটি পাওয়া গেছে তার যোগসূত্রতা রয়েছে বিভিন্ন পাক ওয়েব সাইটের সঙ্গে।

প্রকাশিত ভয়েজ ক্লিপের বক্তব্য অনুসারে, আজ (২৮ এপ্রিল) রাত ১২টার পরপরই মহাকাশের সুপারনোভা হতে বিচ্ছুরিত রেডিয়েশনাল রিয়েক্টর ওয়েব প্রবাহিত হবে বিশ্বের ওপর দিয়ে। যার জন্য সকল প্রকার ইকেট্রনিক ডিভাইস, বিশেষ করে তথ্য প্রযুক্তির সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল প্রকার ডিভাইস বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়। সেই সঙ্গে সংযোগ বিচ্ছিন্ন রাখতে বলা হয় সকল প্রকার ইলেক্ট্রিক ডিভাইস।

এ বিষয়ে অবগত হওয়ার পর বিভিন্ন সূত্রে অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে স্নোপস.কম-এর ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং সিস্টেমের সহযোগিতা নিয়ে জানা যায়  যে, প্রকাশিত এই অডিও ক্লিপের তথ্য আসলে গুজব মাত্র।

এছাড়া নাসার বরাত দিয়ে প্রকাশিত তথ্যে স্নোপস জানায় যে, মহাকাশে সংঘটিত মহাবিস্ফোরণের প্রভাবে এখনও বিভিন্ন অংশে নক্ষত্ররাজির মাঝে বিস্ফোরণ ও নক্ষত্র কণা বিচ্ছুরণের মত ঘটনা ঘটে। তবে এর ফলে সৃষ্ট সকল রেডিয়েটিভ ওয়েব মানব দেহের জন্য ক্ষতিকর নয়। বরং ইথার তথা মহাকাশে অবস্থিত কৃত্রিম স্যাটেলাইটের মাধ্যমে পরিচালিত ডিভাইসের ক্ষেত্রে কিছুটা ক্ষতিকর হতে পারে। তবে এ ব্যাপারে খুব বড় ধরনের কোনো ক্ষতিকর প্রভাব সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলে মানব স্বার্থে নাসা অবশ্যই তা অগ্রিম প্রকাশ করতো।

এদিকে বাংলাদেশি এই নেটিজেনের ধারণা, সম্ভবত বড়ো ধরণের কোনো গোপন তথ্য সকলের অগোচরে পাচারের উদ্দেশ্যেই মানুষকে টেক ডিভাইস থেকে বিচ্ছিন্ন রাখার অপচেষ্টা চালাচ্ছে কোনো গোষ্ঠি। তার এই ধারণা কে একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না। তবে বিষয়টি প্রমাণ করে টেক দুনিয়ায় ক্রমেই আরো চৌকস হয়ে ওঠছে বাংলাদেশি তরুণরা।

মাত্র কয়েকদিন আগেই পাকিস্তানী বিশেষ চক্র গোপন তথ্য পাচার ও গুজব সৃষ্টির মাধ্যমে নেট পাড়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে বলে একাধিক অভিযোগের কথা তুলে ধরেছিল ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা।

এসকে