• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৩, ২০২০, ১২:১২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৩, ২০২০, ১২:১২ পিএম

করোনার জিনোম সিকোয়েন্সের দাবি বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদেরর

করোনার জিনোম সিকোয়েন্সের দাবি বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদেরর
ছবি- সংগৃহিত

করোনাভাইরাসের গতিবিধি ও হালচালের ওপর প্রথমবারের মত নজরদারি শুরু করার দাবি করছেন একদল বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের। তারা বলছেন, করোনাভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্স সম্পন্ন হয়েছে। বিজ্ঞানীদের এই প্রচফেষ্টা সফলতার মুখ দেখলে বলতে হএ, করোনা মোকাবিলায় এক বৈপ্লবিক অধ্যায়ের সূচনা দিতে যাচ্ছেন দেশি বিজ্ঞানীরা।

মঙ্গলবার (১২ মে) চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। তারাই দেশে সর্বপ্রথম এর জিনোম সিকোয়েন্স উদঘাটন করেছে এমনটাই দাবি তাদের। এ জিনোম সিকোয়েন্স ভাইরাসটির গতি-প্রকৃতি ও প্রতিরোধের উপায় খুঁজতে সহায়তা করবে।

ড. সমীর সাহার নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে সিকোয়েন্সটি জমা দিয়েছেন অনুজীব বিজ্ঞানী ড. সেজুঁতি সাহা। চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের ঢাকা ল্যাবে সম্পূর্ণ গবেষণাটি সম্পন্ন হয়েছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানায় তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গবেষণা সম্পন্নের পর নিয়মানুযায়ী তারা এ জিনোম সিকোয়েন্সটির তথ্য-উপাত্ত গ্লোবাল জিনোম ডাটাবেজ GISAID-এ জমা দিয়েছেন। খুব শিঘ্রই এ জিনোম সিকোয়েন্সটির তথ্য প্রকাশ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাধারণত ভাইরাসের সিকোয়েন্স করা কিছুটা দুঃসাধ্য। সেখানে করোনাভোইরাসের মতো সংক্রমণশীল ভাইরাসের সিকোয়েন্স করা আরও কঠিন। চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন ভাইরাসটিকে নিস্ক্রিয় করে মেটাজিনোমিক সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি, খুব শীঘ্রই বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানের নমুনা থেকে আরও কিছু ভাইরাসের সিকোয়েন্সিং করতে সক্ষম হব। যা আমাদের ভাইরাসটির উৎপত্তি, গতি প্রকৃতি বুঝতে ও প্রতিরোধের উপায় খুঁজতে সহায়তা করবে।

তাদের গবেষণার কাজটি সম্পন্ন করতে স্বাস্থ্য অধিদফতর, আইইডিসিআর, বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন এবং চ্যান জুকারবার্গ বায়োহাব ইনিশিয়েটিভ সার্বিক সহযোগিতা করেছে বলেও জানায় চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন।

সীমিত সামর্থ্যের মধ্যে বাংলাদেশি বিজ্ঞানীদের এ অর্জন নিঃসন্দেহে একটি অসামান্য ব্যাপার। তাদের এই কাজ যথাযথ মূল্যায়ণের মাধ্যমে দেশের কাজে নিবেদন করা হবে বলে বিশ্বাস সকলের। দেশীয় বিজ্ঞানীদের এই উদ্ভাবন করোয়া চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে বিশ্বাস সংস্থাটির গবেষকদের।

এসকে