নানান ভুল তথ্য সংগ্রহ করে বাংলাদেশ বিষয়ে গবেষণা করে অনেক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। বিশ্বে দেশের সুনাম নষ্ট করতে এ কাজ করে তারা। ইন্টারনেট সংযোগবিহীন জনগোষ্ঠির শীর্ষ তালিকায় বাংলাদেশের অনুর্ভূক্তিতে, এমন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন দুই মন্ত্রী।
চলতি বছরের মার্চে দেশে করোনা আঘাতের পর কয়েক মাস ধরে ঘরবন্দি মানুষ। এ সময় যোগাযোগ, বিনোদন আর বাড়িতে বসে অফিস করার প্রধান মাধ্যম হয়ে ওঠে ইন্টারনেট ব্যবহার। যাতে ইন্টারনেট ডাটার ব্যবহার বাড়ে ২৫ শতাংশ।
জার্মানভিত্তিক পরিসংখ্যান তৈরি প্রতিষ্ঠান স্ট্যাটিস্টা'র এ বছরের জানুয়ারিতে প্রকাশিত গবেষণায় বলা হয়, বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী প্রায় সাড়ে ছয় কোটি। ৬ মাস পর একই প্রতিষ্ঠানের তথ্যে সে সংখ্যা প্রায় ছয় কোটি।
প্রতিষ্ঠানটির দাবি, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাসের তথ্য নিয়ে এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করে তারা। অথচ, টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা-বিটিআরসি'র তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ডিসেম্বর নাগাদ দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দশ কোটি ছুঁই ছুঁই। এমন পরিসংখ্যানে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন, তথ্যপ্রযুক্তিকেন্দ্রিক ব্যবসায়ী এবং গ্রাহকরাও।
স্ট্যাটিস্টা'র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বাংলাদেশে ইন্টারনেট সংযোগবিহীন জনগোষ্ঠী ৫৯ শতাংশ, এ তথ্যে ক্ষুব্ধ সরকার।
বিটিআরসি'র সবশেষ তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর জুন পর্যন্ত দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ১০ কোটি।
জাগরণ/এমইউ