বিশ্বের অন্যতম প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এলজি নতুন কোনো স্মার্টফোন বাজারে না আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সোমবার (৫ এপ্রিল) সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানায়, ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সব ধরনের মোবাইল প্রকল্প বন্ধ করবে এলজি। এরই মাধ্যমে প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক স্মার্টফোন কোম্পানি বাজার থেকে নিজেদের নাম প্রত্যাহার করল।
এক বিবৃতিতে, মোবাইল সরঞ্জাম বিভাগের ব্যাপক লোকসানের কারণে এই খাত থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানায় এলজি। এর পরিবর্তে আধুনিক গাড়ির প্রযুক্তি সরঞ্জাম, ঘরে-বাইরে নিত্য প্রয়োজনীয় আধুনিক প্রযুক্তি পণ্য ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাবিশিষ্ট আধুনিক প্রযুক্তির বিভিন্ন যন্ত্র তৈরিতে মনোযোগী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার এই কোম্পানিটি। ৬জি নেটওয়ার্কিং প্রযুক্তিতেও বিনিয়োগ বাড়াবে তারা। বাজারে আনবে রোবট ও অত্যাধুনিক ক্যামেরা।
এলজি জানায়, স্মার্টফোন ব্যবসায় গত ছয় বছরে তাদের প্রায় ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়েছে। বর্তমানে শুধু উত্তর আমেরিকার দেশগুলোতেই বিক্রি হচ্ছে এলজির স্মার্টফোন। এসব দেশে গ্রাহক চাহিদার কারণে অ্যাপল আর স্যামসাংয়ের পর বাজারে তৃতীয় অবস্থানেই রয়েছে এলজির স্মার্টফোন। গত বছর এলজির মোট বিক্রীত পণ্যের মাত্র ৮ দশমিক ২ ভাগ ছিল স্মার্টফোন। তাই এই খাতে দীর্ঘস্থায়ীভাবে লোকসানে পড়তে চাচ্ছে না প্রতিষ্ঠানটি।
অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম বাজারে আসার পর স্মার্টফোনের প্রথম সারিতে ছিল এলজি। এমনকি গুগলের সঙ্গে একযোগে নেক্সাস ফোনও বাজারে আনে তারা। তবে এলজির সঙ্গে চুক্তি শেষ করে, গুগল নিজস্ব স্মার্টফোন সিরিজ পিক্সেল বাজারে আনার পর ধীরে ধীরে পিছিয়ে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। এরপর ওয়ানপ্লাসসহ অন্যান্য চীনা স্মার্টফোন প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বাজারে টিকে থাকতে পারেনি তারা।