• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২১, ০৬:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১৯, ২০২১, ০৭:০৫ পিএম

কীভাবে দীর্ঘস্থায়ী হবে কিবোর্ড-মাউস?

কীভাবে দীর্ঘস্থায়ী হবে কিবোর্ড-মাউস?

কম্পিউটারের যে কয়টি ইনপুট ডিভাইস আছে তার মধ্যে সর্বাধিক ব্যবহার হয় কি বোর্ড ও মাউস। এই দুইটি ডিভাইস ছাড়া কম্পিউটারে কাজ করা প্রায় অসম্ভব। যে কোনো একটি অকেজো হলেই বিপদ। সাময়িকভাবে কাজ চালানো গেলেও, তা বিরক্তিকর। কাজেই এই দুই ক্ষুদ্র অথচ অসাধারণ যন্ত্রদয়ের সর্বাঙ্গীন রক্ষণাবেক্ষণ ও দীর্ঘস্থায়ী হতে যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। কীভাবে কম্পিউটারের অপরিহার্য অঙ্গ কি-বোর্ড এবং মাউস দীর্ঘস্থায়ী হবে জেনে নিন।

তারের সুরক্ষা
কী-বোর্ড ও মাউসের তার যুক্ত হলে এই তারের যত্ন নিন। একবার ভাবুন তার ছিড়ে গেলে কি-বোর্ড  ও মাউস কোনো কাজে আসবে না। কাজেই তার যেন অতিরিক্ত বেঁকে না যায় অথবা এর উপর ভারী কিছু রাখবেন না। তারে প্যাঁচ লাগলে টাইপো হবার সম্ভাবনা থাকে এবং মাউস সঠিক ভাবে কাজ করে না।

তরল জাতীয় পদার্থ এড়িয়ে চলুন
এক কাপ চা অথবা কোমল পানীয় নিয়ে কাজ করতে বসলেন? সাবধান! কি বোর্ড  ও মাউসে যেন এক ফোটাও না পরে। যে কোনো তরল কীবোর্ড  ও মাউসের অভ্যন্তরীণ সার্কিটের যথেষ্ট ক্ষতি করতে পারে বা ত্রুটির কারণ হতে পারে।

কাভারের ব্যবহার 
ধূলিকণা যে কোনো বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির বড় শত্রু। ধূলো ময়লা এড়ানোর জন্য কাজ শেষে কি-বোর্ড ও মাউস ঢেকে রাখুন। এক্ষেত্রে সাধারণ কাপড়ের চেয়ে ডাস্ট প্রুফ কাভারের মতো পলি-কভার, কার্ডবোর্ড-কভার ইত্যাদি ব্যবহার করলে ভালো।

নরম আঙুলের ব্যবহার 
আচ্ছা একটি কিবোর্ড ও মাউস আপনার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ? হা এদের গুরুত্ব বুঝে থাকলে আদরের কোমল স্পর্শে বাটনগুলো চাপুন। তাহলে কি-বোর্ড  ও মাউস দীর্ঘদিন সেবা দিয়ে যাবে। যতই দামি হোক বিনা কারণে বা অহেতুক মাউস ক্লিক করবেন না। 

খাদ্য দ্রব্য দূরে রাখুন 
কাজের চাপে খাবারের সময় কই। তাই লাঞ্চ অথবা হালকা নাস্তা নিয়ে কাজের ফাঁকে ফাঁকে খেয়ে নিচ্ছেন। একবার কি দেখেছেন,  খাবারের ছোট ছোট টুকরা কী-বোর্ড  ও মাউসের ভিতরে ঢুকে বাটনগুলো জাম করে দিচ্ছে। এরকম হলে এক বা একাধিক কি কাজ করা বন্ধ করে দিতে পারে। খাবার লাগার কারণে পোকামাকড়ের সংক্রমণ হয়। এছাড়াও খাবার লাগা তৈলাক্ত আঙুলে টাইপ করলে বাটনগুলোতে মুদ্রিত অক্ষর মুছে যায় এবং আঠালো হয়ে যায়।

আঘাত প্রতিরোধ 
অসাবধানতায় কি-বোর্ড বা মাউস যেন টেবিল থেকে পরে না যায়। অযথা কিবোর্ড  ও মাউসের উপর হাত দিয়ে বারি দেওয়া বা অন্য কোনো আঘাত লাগা থেকে একে রক্ষা করুন। 

পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা 
কি-বোর্ড  ও মাউসের ভেতর ময়লা ধুলা বের করতে রঙ করার মোটা ব্রাশ ব্যবহার করতে পারেন। ভ্যাকুয়াম ক্লিনার, এয়ার ব্লোয়ার ময়লা পরিষ্কারে ভালো কাজে আসবে। হালকা গুরা সাবান পানিতে মিশিয়ে কিবোর্ড  ও মাউজ মুছে ফেলতে পারেন। যেকোনো পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ বিদ্যুৎ সংযোগ খুলে করুন।

কিবোর্ড  ও মাউজ এর যাথাযথ যত্ন নিশ্চিত করলে এগুলো থেকে দীর্ঘদিন ত্রুটি মুক্ত সেবা পাবেন এবং আপনার কাজ হবে নির্বিগ্ন, নির্ভুল ও প্রশান্তিময়।