• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১, ১০:৩১ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১, ১০:৩১ পিএম

মোস্তাফা জব্বারঃ

ডিজিটালাইজেশনের বড় চ্যালেঞ্জ সচেতনতার অভাব

ডিজিটালাইজেশনের বড় চ্যালেঞ্জ সচেতনতার অভাব
ফাইল ফটো।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটালাইজেশনের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে সচেতনতার অভাব। জনগণকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সাথে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ততা করার পাশাপাশি প্রযুক্তির বিষয়ে শিক্ষিত করা অপরিহার্য। এবিষয়ে সরকারের পাশাপাশি বিসিএসসহ সংশ্লিষ্ট ট্রেডবডিসমূহকে অগ্রণী ভূমিকা গ্রহণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় বিসিএস কম্পিউটার সিটি প্রতিষ্ঠার ২২ বছর পদার্পণ উপলক্ষ্যে বিসিএস কম্পিউটার সিটি ব্যবস্থাপনা কমিটি আয়োজিত চারদিন ব্যাপি অনুষ্ঠানমালার ভার্চুয়াল উদ্বোধন  অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, দেশে মোট মোবাইল ফোন ব্যবহারকারিদের শতকরা ৩৫ভাগ স্মার্ট ফোন ব্যবহার করেন। সারাদেশে ফোরজি নেট্ওয়ার্ক ও ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ সম্প্রসারিত হওয়ায়  খুব সহসাই স্মার্টফোনের ব্যবহারকারির সংখ্যা বৃদ্ধি পেযে শতকরা ৮৫ ভাগ থেকে ৯০ ভাগে উন্নীত হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, আমরা এবছরেই ৫জি যুগে প্রবেশ করছি।আর প্রযুক্তির এই আধুনিক ভার্সানটি হবে ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল পণ্য।মন্ত্রী দেশের আধুনিক প্রযুক্তি পণ্যের হাব হিসেবে পরিচিত বিসিএস কম্পিউটার সিটিকে প্রচলিত ডিজিটাল পণ্যের পাশাপাশি আধুনিক ডিজিটার ডিভাইসের হাব হিসেবে গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত বিসিএস-এর সাবেক সভাপতি জনাব মোস্তাফা জব্বার ১৯৮৭ সালের পর থেকে কম্পিউটার প্রযুক্তি এবং এর ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জনগণকে সচেতন ও সম্পৃক্ত করতে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে কম্পিউটার মেলাসহ বিসিএস-এর নানা উদ্যোগের কথা বর্ণনা করেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি সম্পন্ন নেতৃত্বে ৯৮ সালে  কম্পিউটারের ওপর থেকে ভ্যাট-ট্যাক্স প্রত্যাহার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় দেশে কম্পিউটার প্রযুক্তি বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়- রচিত হয় ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মানের সোপান। গত ১২ বছরে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, ২০০৮ সালে দেশে মাত্র ৮ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যান্ডউইডথ ব্যবহার হতো বর্তমানে তা সাড়ে ২৬শত জিবিপিএস-এ উন্নীত হয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।কম্পিউটারে বাংলাহরফে  পত্রিকা প্রকাশের উদ্ভাবক আনন্দপত্র বাংলা সংবাদ সংস্থার চেয়ারম্যান- সাংবাদিক জনাব মোস্তাফা জব্বার কম্পিউটার জনপ্রিয় করতে সংবাদ মাধ্যমের ভূমিকা এবং বিসিএস- এর তৎকালীন নেতৃবৃন্দের অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

তিনি তথ্য প্রযুক্তি বিকাশে জামিলুর রেজা চৌধুরী (জেআরসি) রিপোর্ট বাস্তবায়নে বিসিএস- এর অবদান তুলে ধরে বলেন, কমিটির ৪৫টি রিপোর্টের মধ্যে ২৮টি রিপোর্ট বাস্তবায়নে বিসিএস ভূমিকা পালন করে। তিনি বলেন, ডিজিটালাইজেশনের জন্য বঙ্গবন্ধুর রোপন করা বীজটি ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারা গাছে রূপান্তর করেন। গত বার বছরে শেখ হাসিনার হাত ধরেই তা বিরাট মহিরূহে রূপ লাভ করেছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে বিএসএস সভাপতি শাহিদ-উল মুনীর, সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ এইচ কাফি. আহমেদ হাসান জুয়েল, সবুর খান,যুক্তরাষ্ট্র থেকে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুনেম রানা, বিসিসিএস সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম মনি, বিসিএস নেতা ভূইয়া এনাম লেলিন, রফিকুল আনোয়ার, হাবিবুর রহমান শাহীন, মঈনুল ইসলাম মইন প্রমূখ বক্তৃতা করেন।

পরে মন্ত্রী বিসিএস কম্পিউটার সিটির ২২ বছর পদার্পণ উপলক্ষে্ চারদিনব্যাপী অনুষ্ঠান মালা ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন।

 

জাগরণ/এসকেএইচ