• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৫, ২০১৯, ০৩:১৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৫, ২০১৯, ০৯:১৬ পিএম

দল পরিচিতি 

আফগানিস্তান : বিশ্বকাপের ডার্ক হর্স 

আফগানিস্তান : বিশ্বকাপের ডার্ক হর্স 

১৯৯২ সালের অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের পর আবারো বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব হতে যাচ্ছে রাউন্ড রবিন লীগ পদ্ধতিতে। আগের বিশ্বকাপ থেকে দল সংখ্যা ১৪ থেকে কমিয়ে ১০'এ নিয়ে আসায় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ অভিভাবক সংস্থার এই পরিকল্পনা। 

এই দলগুলোর মধ্যে আয়োজক দেশ হিসেবে ইংল্যান্ড সরাসরি সুযোগ পেয়েছে বিশ্বকাপে অংশ নেয়ার। এছাড়া ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা এই ৭ দল এবারের বিশ্বকাপে সুযোগ করে নেয় ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ে সেরা ৮ এর মধ্যে থাকায়। বাকি দু'দল হিসেবে কোয়ালিফায়ার খেলে বিশ্বমঞ্চের আসরে সুযোগ করে নেয় দু'বারের বিশ্বকাপজয়ী দল ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও সম্প্রতি ক্রিকেট একের পর এক চমক সৃষ্টি করে যাওয়া আফগানিস্তান। 

বিশ্বকাপের বাকি আরও ১৪ দিন। দৈনিক জাগরণের বিশ্বকাপ বাউন্ডারির আজকের দল পরিচিতি আয়োজনে থাকছে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে উঠে এসে ক্রিকেট বিশ্বকে মাতিয়ে চলা আফগানিস্তান দল নিয়ে : 


আফগানিস্তানের ১৫ সদস্যর বিশ্বকাপ দল 

প্রথম পর্বের ম্যাচগুলোতে আফগানিস্তানের সময়সূচি

এবারের বিশ্বকাপের ডার্ক হর্স বলা হচ্ছে আফগানিস্তান ক্রিকেট দলকে। ফুটবলে সচারাচর ডার্ক হর্স বা কালো ঘোড়া শব্দটি ব্যবহার করা হলেও ক্রিকেটীয় ভাষায় এর বিচরণ কম। তবে আফগানিস্তান দল গেল দুই-এক বছর ধরে যে মানের ক্রিকেট খেলছে, তাদের নামের পাশে শব্দটি বসবার যথাযথ কারণ আছে। ইংল্যান্ড ও ওয়েলস বিশ্বকাপে কোয়ালিফায়ার খেলে সুযোগ করে নিয়েছে দলটি। এদিকে আইসিসির বর্তমান ওয়ানডে র‍্যাংকিংয়ে ১০ নম্বরে আছে আফগানিস্তান।

তবে র‍্যাংকিংকে পাশ কাটিয়ে রেখে বড় বড় দলকে শুধুমাত্র দলীয় পারফর্মেন্সের মাধ্যমে কাবু করে আসছে দলটি। গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাতে এশিয়ানদের বিশ্বকাপ এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কাকে ৯১ এবং আসরের ফাইনালিস্ট বাংলাদেশকে ১৩৬ রানের বড় ব্যবধানে হারানোর রেকর্ড আছে তাদের। এ ছাড়াও আসরের চ্যাম্পিয়নকে ভারতকেও তারা রুখে দিয়েছিল (টাই)। 


 
শুধু এশিয়া কাপই নয়, ওয়ানডে স্ট্যাটাস পাওয়ার পর থেকে তাদের সাফল্যের গ্রাফ কেবলই ঊর্ধ্বমুখী। এরইমধ্যে টি-টুয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেদের অনন্য এক উচ্চতায় নিয়ে গেছে দলটি। অন্যদিকে, ২০১৭ সালে টেস্ট স্ট্যাটাসও পেয়ে গেছে আফগানিস্তান। তাই দলটি বিশ্বকাপে যদি বড় কোনো দলকে হারিয়ে দেয় তবুও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। এ ছাড়াও দলটির প্রধান নির্বাচক জানিয়েছেন, তাদের চোখ এখন বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। মোহাম্মদ নবী, মোহাম্মদ শাহজাদ, রশিদ খানরা যদি সঠিক সময়ে জ্বলে ওঠে তা কিন্তু অসম্ভব হবে না আফগানদের কাছে। 

শক্তিমত্তা : বিশ্বকাপে আফগানিস্তান চমক দেখাতে পারে তাদের দলগত পারফর্মেন্সের মাধ্যমে। গত কয়েক বছর ধরেই দলের ক্রিকেটাররা একসঙ্গে খেলে আসছে। সে হিসেবে দলটির ক্রিকেটারদের মধ্যে বোঝাপড়া এখন চমৎকার। রশিদ খান, মোহাম্মদ নবীরা আইপিএলে নিয়মিত খেলে বাড়িয়ে নিচ্ছেন নিজেদের অভিজ্ঞতা। পাশাপাশি মোহাম্মদ শাহজাদ, হজরতউল্লাহ জাজাই, আসগর আফগান ও নাজিবুল্লাহ জাদরানদের নিয়ে গড়া ব্যাটিং লাইনআপ ভোগাতে পারে যেকোনো বোলিং লাইনআপকে।  

দুর্বলতা : বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগে হঠাৎ করেই রদবদল আসে আফগানিস্তান দলের তিন ফরম্যাটের অধিনায়কত্বে। আফগান আসগরের নেতৃত্বে দল উড়তে থাকলেও তাকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে গুলবাদিন নাইবকে অধিনায়ক করে এসিসি। এ নিয়ে সমালোচনা কম হয়নি। দলটির গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরাও আসগরকে এভাবে অধিনায়কের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার জন্য প্রতিবাদ করেছে। যদিও এ ব্যাপারে এখন আর তেমন উচ্চবাচ্য শোনা যাচ্ছে না। কিছুদিন আগে আফগান দলের প্রধান নির্বাচক জানিয়েছিলেন, গুলবাদিনকে অধিনায়ক হিসেবে সবাই মেনে নিয়েছে। তার উপর বিশ্বাস রাখছে। তবে এই ঝটিকা পরিবর্তনই এখন পুরো আফগানিস্তান দলকে বিশ্বকাপে ভোগাতে পারে। কারণ আসগরের অধিনায়কত্বে দল একভাবে খেলে আসছিল। দলের নেতৃত্ব পরিবর্তন হওয়ায় নিশ্চিত তা পরিবর্তন হবে। সেই সঙ্গে ড্রেসিং রুমে দলের শৃঙ্খলার বিঘ্নও ঘটাতে পারে তা।   

এসএইচএস