• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ১৯, ২০১৯, ০৫:২৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ১৯, ২০১৯, ০৫:৪৪ পিএম

বাংলাদেশ বিশ্বকাপ নিয়ে এলেও অবাক হবেন না আতাহার 

বাংলাদেশ বিশ্বকাপ নিয়ে এলেও অবাক হবেন না আতাহার 

বিশ্বকাপে ধারাভাষ্য দেয়ার জন্য গত বৃহস্পতিবার (১৬ মে) ২৪ জনকে নির্বাচন করেছে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ অভিভাবক সংস্থা আইসিসি। সেই তালিকায় স্থান পেয়েছে বাংলাদেশের ধারাভাষ্যকার আতাহার আলী খানও। প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ধারাভাষ্য কক্ষে পা দেবেন বলে অনেকেই আতাহার আলী খানকে বিশেষ শুভেচ্ছা পাঠাচ্ছেন। 

তবে এই প্রথম না! চমকপ্রদ তথ্যটি দিলেন আতাহার নিজের মুখেই। সকলের ভুল ভেঙে দিয়ে জানালেন, এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপে ধারাভাষ্য দেবেন তিনি। বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে কমেন্ট্রি বক্সে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়ে নিজের উচ্ছ্বসিত আতাহার জানান, সুযোগ পাওয়ার অনুভূতিটা খুব দারুণ। তবে বিশ্বকাপে কিন্তু এটা আমার প্রথম ধারাবিবরণী দেয়া হবে না। এর আগে ২০০৭ বিশ্বকাপেও কিন্তু আমি ধারাভাষ্য দিয়েছি। সেটা মানুষজন ভুলে যাচ্ছে। এদিকে অনুভূতিটা অনেক  ভালো হওয়ার কারণ হলো বাংলাদেশ দলের এই বিশ্বকাপে সুযোগ অনেক বেশি। যেভাবে দু-তিন বছর তারা খেলাধুলা করছে গর্বে বুকটা ফুলে যাচ্ছে।  

বিশ্বকাপে টাইগারদের সফলতা পাওয়ার প্রশ্নে আতাহার বলেন, সবাই বলছে বাংলাদেশ ৯টা ম্যাচ খেলতে ইংল্যান্ড যাচ্ছে। তবে আমি তো মনে করছি ১১টা। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের খুব বড় সুযোগ রয়েছে এবার। বাংলাদেশ যদি বিশ্বকাপটা নিয়ে আসে তাতেও আমি অবাক হবো না!   

আইসিসির সবশেষ দুই টুর্নামেন্টেই বেশ সফল বাংলাদেশ। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার নেতৃত্ব দল ২০১৫ বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার পর ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালেও খেলেছে। তবে বড় মঞ্চে ফাইনালে খেলার অবস্থানে পৌঁছে গেছে টাইগাররা?

আতাহারের উত্তর ইতিবাচক। তিনি বলেন, অবশ্যই। শতভাগ সম্ভাবনা রয়েছে। আমি কিন্তু দলের ৫ জনকে ইতোমধ্যেই বার্তা পাঠিয়েছি। বলেছি তোমরা একটা কোয়ার্টার খেলার পর পরেরটায় সেমিতে খেলেছ। এবার তো ফাইনাল খেলবেই, সেই সঙ্গে কাপটা আনলেও ভালো হয়। 

ধারাভাষ্য কক্ষে বাংলাদেশের হয়ে একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করবেন দেশ বরেণ্য এই ধারাভাষ্যকার। সেখানে বিদেশি সাবেক ক্রিকেটার, ক্রিকেট বিশ্লেষকদের পাশাপাশি বিচার-বিশ্লেষণ করতে দেখা যাবে তাকে। তো বাংলাদেশ দল নিয়ে তাদের চিন্তা-ভাবনাটা কেমন হতে পারে, ইতিবাচক না নেতিবাচক?  

আতাহার আলী খান বলেন, আমি ২০০০ সাল থেকে ধারাভাষ্য দেয়া শুরু করি। তখন আমার ভয় করতো, বলব কী? এখন কিন্তু গর্ববোধ করি। কারণ বাংলাদেশ এখন অতিরিক্ত ভালো ক্রিকেট খেলে এবং এই দল যেকোনো দিনে যেকোনো দলকে হারিয়ে দেয়ার সামর্থ্য রাখে। সেই কারণে তারাও এখন ভয় পায়। এতে করে কমেন্ট্রি বক্সে আমার সম্মানও বেড়ে গেছে। এ জন্য টাইগারদের ধন্যবাদ। 

এসএইচএস