• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২১, ২০১৯, ০৪:৫২ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২১, ২০১৯, ০৪:৫২ পিএম

কাকে ফেলে কাকে রাখি! 

কাকে ফেলে কাকে রাখি! 

বাংলাদেশের ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণার পর থেকে তর্ক-বিতর্ক কম হয় নি। অভিজ্ঞ তাসকিনকে না নিয়ে একদিনের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একেবারেই আনাড়ি আবু জায়েদ রাহী কেন দলে সুযোগ পেলেন এমন প্রশ্ন উঠেছে দেদার। ঢাকা প্রিমিয়ার লীগে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ফরহাদ রেজাকে দলে না নেয়ায় হতাশ হয়েছেন অনেকে। ইনফর্ম ইমরুল কায়েসকে বাদ দিয়ে সৌম্য সরকারকে কেন নেয়া হলো- এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছেন ভক্তরা। অতিরিক্ত অলরাউন্ডার হিসেবে মোসাদ্দেককে নেয়ারই বা কি প্রয়োজন ছিল!  

কিন্তু আয়ারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত সদ্য সমাপ্ত ত্রিদেশীয় সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে নিন্দুকদের মুখ বন্ধ করে দিয়েছেন সৌম্য, রাহী, মোসাদ্দেকরা। বিশ্বকাপে মাঠে নামার সুযোগ নিশ্চিত করতে সবাই এতটাই মরিয়া হয়ে উঠেছেন যে, যখন যাকে সুযোগ দেয়া হয়েছে তিনিই নজর কেড়েছেন! একারণেই আগের ম্যাচে ৫ উইকেট শিকার করা রাহীর জায়গা হয়নি ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের একাদশে। এ বিষয়ে টাইগারদের প্রধান কোচ স্টিভ রোডস বলেন, 'আমি টিম মিটিংয়ে বলেছিলাম যে স্কোয়াডে ১৫ জন ক্রিকেটার আছে যাদের সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না। আমরা পাঁচ উইকেট শিকার করা রাহীকে অন্তর্ভুক্ত করিনি। এটি অবশ্যই তার জন্য মেনে নেয়া কঠিন। তবে ওকে না নেয়ার মানে এটাই যে স্কোয়াডে এমন কিছু খেলোয়াড় আছে যারা আসলেই অসাধারণ। সে এ ব্যাপারটি মেনে নিয়েছে।' 

শুধু রাহী নন, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৬৭ বলে ৭৬ রানের একটি ছবির মতো সুন্দর ইনিংস খেলেও ফাইনালের একাদশে সৌম্য সরকারকে জায়গা করে দিতে বাদ পড়েছেন লিটন দাশ। বিশ্বকাপ স্কোয়াডে থাকা খেলোয়াড়রাই যখন মূল একাদশে এমন জায়গা কাড়াকাড়িতে ব্যস্ত, তখন দলের অতিরিক্ত সদস্য হিসেবে আয়ারল্যান্ডে যাওয়া তাসকিন, ইয়াসির, নাইম ও ফরহাদ রেজার ম্যাচে সুযোগ পাওয়া কঠিন হবে এটাই স্বাভাবিক। হয়েছেও তাই। এতসব ভালো পারফরম্যান্সের বিশ্বকাপে নিজেদের খেলার যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগই পাননি তাসকিন আহমেদ ও ফরহাদ রেজা। স্টিভ রোডসের জন্যও এখন পরিস্থিতি এখন 'কাকে ফেলে কাকে রাখি!' অবস্থা।  
 
ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে দারুণ এক ঝড়ো ইনিংসে ক্যারিবিয়দের ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়া মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোতে মূল একাদশে থাকবেন কি না তা নিয়েও আছে সংশয়। মূল একাদশে তার প্রধান প্রতিপক্ষ ভাবা হচ্ছে আরেক পরীক্ষিত তরুণ সাব্বির রহমানকে, যিনি আগের সিরিজেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পেয়েছেন দারুণ সেঞ্চুরি। তামিমের সঙ্গে সৌম্য নাকি লিটন; কে ইনিংসের সূচনা করবেন তার ফয়সালাও করতে হবে টিম ম্যানেজমেন্টকে। ডিপিএলের শেষভাগ থেকে এখন পর্যন্ত পারফরম্যান্সের বিচারে সৌম্য এগিয়ে থাকলেও লিটনও পিছিয়ে নেই মোটেই। উপরন্তু, বাঁহাতি-ডানহাতি কম্বিনেশনের কথা চিন্তা করলে এগিয়ে থাকবেন লিটনই।  

বিশ্বকাপ দলের ১৫ জনই ভালো খেলছেন। সেরা একাদশ গঠনের সিদ্ধান্তটা তাই মধুর একটি সমস্যা। তবে সমস্যা যত 'মধুর' হোক, সমাধানটা যে বেশ জটিল! শেষ পর্যন্ত টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট কেমন একাদশ মাঠে নামান বিশ্বকাপের মঞ্চে, সেটিই এখন দেখার বিষয়। 

এমএইচএস