• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মে ২৩, ২০১৯, ০৪:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মে ২৩, ২০১৯, ০৫:৩৩ পিএম

স্মৃতিতে বিশ্বকাপ

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই ৪ ম্যাচ 

বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেই ৪ ম্যাচ 

গত ১৭ মে ত্রিদেশীয় সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো বহুজাতিক কোনো সিরিজের শিরোপা জিতে নেয় বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের আগে দলের জন্য যা বড় টনিক। এদিকে গেল বেশ কয়েক বছর ধরে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলকে খুব সহজে হারালেও, বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে লজ্জার রেকর্ড কিন্তু এই ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষেই। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত পাঁচবার অংশ নিয়ে মোট চারবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের মোকাবেলা করেছে টাইগাররা। এর মধ্যে তিনটিতেই হেরেছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। আর বাকি ম্যাচটি বৃষ্টির কারণে হয় পরিত্যক্ত। 

এবার বিশ্বকাপের সেই ৪ ম্যাচের স্মৃতি রোমন্থন করা যাক : 

২১ মে ১৯৯৯ (ডাবলিন) : যে ডাবলিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে বাংলাদেশ ঐতিহাসিক ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জিতেছে, সেই ডাবলিনেই বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজেদের মুখোমুখি প্রথম দেখায় হারে টাইগাররা। প্রথম বিশ্বকাপে অংশ নিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ক্যারিবিয়দের কাছে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের দল হারে ৭ উইকেটের ব্যবধানে। 

টসে জিতে আগে ব্যাটিং করতে নেমে মেহরাব হোসেন অপির ৬৪ রানের ইনিংসের উপর ভর করে ১৮২ রানের সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। জবাব দিতে নেমে ২১ বল আর ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় উইন্ডিজরা। টাইগারদের বর্তমান বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালস সেদিন বল হাতে তুলেছিলেন ঝড়। নিয়েছিলেন ২৫ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট। নির্বাচিত হন ম্যাচ সেরাও। 

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৩ (বেনোনি) : হতাশা ছাড়া ২০০৩ বিশ্বকাপ বাংলাদেশকে আর কিছুই দেয়নি। হারে আসরের ৬ ম্যাচের ৫টিতেই। এর মধ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাকি ১ ম্যাচ বৃষ্টির কারণে হয় পরিত্যক্ত।

যদিও টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে পুরো ৫০ ওভার ব্যাটিং করে রিকার্ডো পাওয়েলের ফিফটিতে (৫০ রান) ৯ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ২৪৪ রানের তোলে উইন্ডিজরা। জবাব দিতে নেমে ৮ ওভার শেষে ২ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ ৩২ রান তোলার পর বৃষ্টির বাঁধায় মাঠে আর ম্যাচ গড়ায়নি। ফলে পরিত্যক্ত ঘোষিত হয় ম্যাচ। 

১৯ এপ্রিল, ২০০৭ (ব্রিজটাউন) : ভারত ও বারমুডাকে হারিয়ে ২০০৭ বিশ্বকাপে প্রথমবারের মতো দ্বিতীয় পর্ব (সুপার এইট) নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। এদিকে সুপার এইটে ফের ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে পড়ে যায় টাইগাররা।

তবে এবারও নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেনি লাল-সবুজরা। ঘরের মাঠে আয়োজিত বিশ্বকাপে আগে ব্যাট করে উইন্ডিজরা সংগ্রহ করে ২৩০ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৯১ রান করেন রামনারেশ সারোওয়ান। জবাব দিতে নেমে, মাত্র ১৩১ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। 

৪ মার্চ, ২০১১ (ঢাকা) : বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে লজ্জার অধ্যায় রচিত হয় এদিন। ক্যারিবিয়ান বোলারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে মিরপুরে টাইগাররা অলআউট হয়ে যায় মাত্র ৫৮ রানে।

যা বিশ্বকাপ ইতিহাসে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড। উইন্ডিজদের হয়ে সুলেমান বেন ৪ এবং কেমার রোচ ও ড্যারেন স্যামি নেন ৩টি করে উইকেট। জবাবে মাত্র ১২ ওভারেই ১ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। 


এসএইচএস