• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০১৯, ০৪:৫৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ২৪, ২০১৯, ০৪:৫৬ পিএম

আম্পায়াররাও যেন আজ টাইগারদের বিপক্ষে! 

আম্পায়াররাও যেন আজ টাইগারদের বিপক্ষে! 

সাউদাম্পটনের রোজ বোলে বিশ্বকাপের ৩১তম ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। তামিম ইকবালের সাথে আজ ইনিংস উদ্বোধন করতে নামা লিটন প্যাভিলিয়নে ফিরে গেছেন থার্ড আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে। এবার আম্পায়ারের দেয়া আউট থেকে রিভিউ নিয়ে বাঁচলেন সাকিব আল হাসান। 

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৯ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৮৯ রান। ২৯ রান নিয়ে সাকিব আল হাসান ও ২ রান নিয়ে ক্রিজে অপরাজিত আছেন মুশফিকুর রহিম। এরই মধ্যে ডেভিড ওয়ার্নারের কাছ থেকে টুর্নামেন্টের শীর্ষ রান সংগ্রাহকের আসন ছিনিয়ে নিয়েছেন সাকিব।   

১৭তম ওভারেই ব্যক্তিগত ৩৬ রানে মোহাম্মদ নবীর বলে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন তামিম ইকবাল। পরের ওভারের প্রথম ওভারে রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউয়ের আবেদন হয়েছিল সাকিবের বিরুদ্ধে। আম্পায়ারও আঙুল উঁচিয়ে আউট ঘোষণা করেছিলেন তাকে। তবে আত্মবিশ্বাসী সাকিব সাথে সাথে রিভিউ নিয়ে নেন। সেখানে দেখা যায়, স্ট্যাম্প মিস করেছে রশিদের বলটি। 

এর আগে বাঁহাতি-ডানহাতি কম্বিনেশন গড়তে আজ তামিম ইকবালের সঙ্গে সৌম্য সরকারের পরিবর্তে লিটন দাসকে দিয়ে ইনিংসের উদ্বোধন করিয়েছিলেন টাইগার টিম ম্যানেজমেন্ট। তবে ব্যক্তিগত ১৬ রানে থার্ড আম্পায়ারের বিতর্কিত এক সিদ্ধান্তে বিদায় নিতে হয়েছে লিটন দাসকে। 

ইনিংসের পঞ্চম ওভারে মুজিব উর রহমানের একটি বলে শর্ট কভারে হাশমতউল্লাহ শাহিদীর হাতে ধরা পড়ে গিয়েছিলেন লিটন। আফগান ফিল্ডাররা উল্লাসে মেতে উঠলেও ক্রিজে দাঁড়িয়েই ছিলেন তিনি। ফিল্ড আম্পায়াররাও দোটানায় থাকায় সফট সিগনাল আউট দেখিয়ে থার্ড আম্পায়ার আলিম দারের কাছে ডিসিশন রিভিউ করতে পাঠান। 

তবে রিভিউয়ে দেখা যায়, বল শাহিদীর হাতে জমা পড়ার আগে মাটি স্পর্শ করেছে, যদিও স্পষ্ট সিদ্ধান্ত নেয়া খুবই কঠিন ছিল। তবে এ ধরণের পরিস্থিতিতে সিদ্ধান্ত সাধারণত ব্যাটসম্যানদের পক্ষেই যাওয়ার কথা। এর আগে বাংলাদেশের বিপক্ষেও এমন অনেক সিদ্ধান্তে সুবিধা পেয়ছেন বায়টসম্যানরা। 

তবে সব ধারণাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে লিটনকে আউট ঘোষণা করেন থার্ড আম্পায়ার। ইএসপিএন ক্রিকইনফোর ধারাভাষ্যকারও বলছে, 'এই ধরণের সিদ্ধান্ত সাধারণত ব্যাটসম্যানদের পক্ষেই ঘুরে যাওয়ার কথা। নিশ্চয় খুব বড় রকমের বিতর্ক জন্ম দিতে চলছে এই সিদ্ধান্ত।'

এমএইচএস