• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জুলাই ১৮, ২০১৯, ০৯:১০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুলাই ১৮, ২০১৯, ০৯:১২ এএম

আরেকটি সুপার ওভারের প্রয়োজন ছিল : শচীন 

আরেকটি সুপার ওভারের প্রয়োজন ছিল : শচীন 
বাউন্ডারি সংখ্যার হিসেব করে চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণের পক্ষপাতি নন শচীন। ফাইল ছবি

দ্বাদশ ক্রিকেট বিশ্বকাপের শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালের 'অদ্ভুত' পরিসমাপ্তি নিয়ে ভারতীয় কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার বলেছেন, যেহেতু এটি বিশ্বকাপের মতো বড় একটি আসরের ফাইনাল ম্যাচ ছিল, তাই গুরুত্ব বিবেচনায় এমন পরিস্থিতিতে বাউন্ডারি সংখ্যার হিসাব না করে আরেকটি সুপার ওভারের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন নির্ধারণ করা যেত।

লর্ডসে অনুষ্ঠিত ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার এবারের বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচটি টাই হলে খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। সেই লড়াইয়ে দুই দল সমান ১৫ রান করায় সেখানেও ম্যাচের নিষ্পত্তি হয়নি। পরবর্তীতে বাউন্ডারি সংখ্যার হিসেবে ইংলিশরা মোট ২২টি চার ও ২টি ছক্কা মেরে কিউইদের থেকে (১৬টি চার) এগিয়ে থাকায় ট্রফি জিতে নেয় ইয়ন মরগানের দল।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রানের মালিক শচীনের ভাষ্যমতে, “আমার মনে হয় বিজয়ী নির্বাচন করার জন্য বাউন্ডারি সংখ্যার হিসেবের পরিবর্তে আরেকটি সুপার ওভারের ব্যবস্থা রাখা উচিৎ ছিল। শুধু বিশ্বকাপ ফাইনাল বলে নয়, প্রতিটি খেলাই গুরুত্বপূর্ণ। ফুটবলের নিয়মটা দেখুন, অতিরিক্ত সময়ে খেলা গড়ালে আর কোনো কিছুই ভাবতে হয় না, ফলাফল নির্ধারণে পেনাল্টি চলতেই থাকে।” 

শচীনের আগে রোহিত শর্মা, গৌতম গম্ভীর ও যুবরাজ সিংয়ের মতো সাবেক ও বর্তমান ক্রিকেটাররা আইসিসির বাউন্ডারি সংখ্যা হিসাবের এই নিয়মকে 'হাস্যকর' বলে উল্লেখ করেছিলেন। 

অন্যদিকে রাউন্ড রবিন লীগে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে সেমিফাইনালে উঠলেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমির লড়াইয়ে ১৮ রানে হেরে বিদায় নেয় ভারত। ভারতীয় বর্তমান ও সাবেক অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং সৌরভ গাঙ্গুলী তখন মত দিয়েছিলেন, বিশ্বকাপে আইপিএলের মতো প্লে-অফের সিস্টেম থাকা দরকার। এতে করে পয়েন্ট টেবিলে এগিয়ে থাকা দুই দল বাড়তি সুবিধা পাবে। 

এ ব্যাপারে শচীনকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, “আমার মনে হয় যে দুটি দল সেরা দুই অবস্থানে থেকে শেষ করে, ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলার কারণে তাদের জন্য অবশ্যই কিছু সুবিধা থাকা উচিৎ।” 

এমএইচএস