• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: আগস্ট ২, ২০১৯, ০২:৪৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ২, ২০১৯, ০২:৫৪ পিএম

ক্রীড়াঙ্গনে ডেঙ্গুর থাবা, হাসপাতালে ভর্তি অ্যাথলেটরা

ক্রীড়াঙ্গনে ডেঙ্গুর থাবা, হাসপাতালে ভর্তি অ্যাথলেটরা
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালের বিছানায় যন্ত্রণায় ছটফট করছে কয়েকজন অ্যাথলেট। ফটো : সময় টিভি

মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গুর ভয়াবহতা স্পর্শ করেছে দেশের ক্রীড়াঙ্গনেও। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন এসএ গেমসের ক্যাম্পে থাকা বেশ কয়েকজন অ্যাথলেট। বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালের বিছানায় জ্বরে কাঁপছেন কাবাডি খেলোয়াড় মুসলিমা খাতুন। রাজধানীর আরও কয়েকটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন বৃষ্টি, হাবিবা, সুমাইয়া ও আসমা।

ডেঙ্গুতে কাবু হয়েছেন খো খো, কাবাডি, ফুটবলসহ বেশ কয়েকটি ডিসিপ্লিনের অ্যাথলেটরা। যা নিয়ে ক্যাম্পে থাকা বাকি খেলোয়াড়দের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সমস্যা সমাধানে দুই সিটি করপোরেশনের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন।  

আগামী ডিসেম্বরে নেপালে অনুষ্ঠিত হবে এসএ গেমসের ১৩তম আসর। একরাশ স্বপ্ন নিয়ে এস এ গেমসে পদক জয়ের আশায় সুলতানা কামাল মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে আবাসিক ক্যাম্পে ছিলেন এই ক্রীড়াবিদরা। কিন্তু ডেঙ্গুর ছোবলে এখন প্রাণ বাঁচানোই দায় তাদের। ডেঙ্গুর এমন ভয়াবহতা থেকে পরিত্রাণের উপায় খুঁজে না পাওয়ায় স্বস্তিতে নেই বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন এবং ফেডারেশন কর্তারা। 

খো খো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান বাবুল বলেন, ৭-৮ জনের শারীরিক পরিস্থিতি খারাপ। এখন কেউ কেউ বলছে, আমরা যদি ক্যাম্প থেকে সবাইকে ছুটি দিয়ে দেই তাহলে তারা বাড়ি ফিরে গেলে তাদের দ্বারা ডেঙ্গু ছড়ানোর সম্ভাবনা আছে।

হ্যান্ডবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান স্বপন অসহায় কণ্ঠে বলেন, আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি তাদের ভালোভাবে রাখার জন্য। কিন্তু মশাকে তো আমি বন্ধ করে রাখতে পারবো না। 

ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে চেষ্টার কমতি নেই এসএ গেমসের ক্যাম্পে থাকা খেলোয়াড়দের। অনুশীলনের বাইরে যতটা সম্ভব মশারির ভেতরেই কাটাচ্ছেন তারা। যদিও হ্যান্ডবল ফেডারেশনের এমন চিত্রের সঙ্গে মিল নেই বাকি ফেডারেশনগুলোর। অন্যদের জন্য নেই এমন সুযোগ-সুবিধা। 

এসএ গেমসের ক্যাপে থাকা একজন নারী অ্যাথলেট বলেন, তিন-চারজন মেয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ায় শেষ পর্যন্ত ক্যাম্প থেকে তাদের বাদ পড়তে হয়েছে। এখন যেহেতু ডেঙ্গুর একটা মৌসুম চলছে, তাই আমাদের যে হবে না তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। 

আরেক নারী অ্যাথলেট বলেন, সবাই সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। এরপরেও অনেকের জ্বর হচ্ছে। জ্বর হলেই মনে হচ্ছে এই মনে হয় ডেঙ্গু হয়ে গেল!  

অ্যাথলেটদের ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি উদ্বিগ্ন করছে এখন পর্যন্ত সুস্থ থাকা অ্যাথলেট এবং ফেডারেশন কর্তাদের। তাদের দাবি, শুধু সতর্কতা দিয়ে অ্যাথলেটদের ডেঙ্গু থেকে বাঁচানো কঠিন। 

বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব শাহেদ রেজা গণমাধ্যমকে বলেন, উত্তর এবং দক্ষিণের দুই মেয়রের সঙ্গে আমি ব্যক্তিগতভাবে আলাপ করেছি। তাদেরকে আমরা চিঠি দিয়েছি। যে জায়গায় আমাদের আবাসিক ক্যাম্পগুলো হচ্ছে, সেখানে যাতে নিয়মিত মশার ওষুধ ছিটানো হয়, তার জন্য বলা হয়েছে। উনারা তা করছেনও। প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ের জন্য আমরা আলাদাভাবে মশারিও দিয়েছি। 

সূত্র : সময় টিভি, যমুনা টিভি 

আরআইএস 
 

আরও পড়ুন