• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: আগস্ট ১৯, ২০১৯, ১২:০৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ১৯, ২০১৯, ১২:০৮ পিএম

শাহজাদের ১ বছরের নিষেধাজ্ঞার কারণ অজ্ঞাত! 

শাহজাদের ১ বছরের নিষেধাজ্ঞার কারণ অজ্ঞাত! 
বোর্ডের সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়েই নিষিদ্ধ হলেন মোহাম্মদ শাহজাদ । ফাইল ফটো

আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদকে আগে অনির্দিষ্টকালের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণার পর তার সঙ্গে বোর্ডের কেন্দ্রীয় চুক্তিও স্থগিত করে। তবে এবার শাহজাদের শাস্তির মেয়াদ নির্ধারণ করে আগামী এক বছরের জন্য তাকে আগামী এক বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

রোববার (১৮ আগস্ট) এসিবি মোহাম্মদ শাহজাদের এই শাস্তির মেয়াদ নির্ধারণ করে দিলেও বিস্ময়করভাবে কোন অপরাধের দায়ে তাকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেটি উল্লেখই করা হয়নি!

যদিও গত ১০ আগস্ট দেশের বাইরে ভ্রমণের জন্য বোর্ডের অনুমতি না নেয়ার অপরাধে শাহজাদের বিরুদ্ধে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে জানিয়ে এসিবি আনুষ্ঠানিক এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, দেশের মধ্যেই ক্রিকেটারদের অনুশীলন করার যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা আছে, তাই দেশের বাইরে যখন-তখন যাওয়ার কোনো দরকার নেই।

শাহজাদের জন্ম পাকিস্তানের পেশোয়ারে। যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে অনেকেই শরণার্থী হিসেবে পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিলেন, যাদের মধ্যে ছিল শাহজাদের বাবা-মা। তারা মূলত আফগানিস্তানের নঙ্গরহার এলাকার বাসিন্দা। তবে জম্ম থেকে পেশোয়ারে বেড়ে ওঠা শাহজাদের ক্রিকেটের হাতে খড়ি সেখানেই হয়েছে। বিয়েও করেছেন সেখানকার এক নারীকেই। জন্মস্থানের প্রতি টান এবং বৈবাহিক সম্পর্কের কারণেই শাহজাদকে মাঝে মাঝেই পেশোয়ারে যেতেই হয়।  

সম্প্রতি শাহজাদ পেশোয়ারে বেড়াতে যাওয়ার পর ক্রিকেট অনুশীলন করেছিলেন। আর তাতেই আপত্তি জানিয়েছিল আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। বারবার শাহজাদকে বিষয়টি নিয়ে নিষেধ করা হয় এবং আফগানিস্তানের বাইরে অন্য দেশে অবস্থান করলে চুক্তি বাতিলের হুমকিও দেয়া হয়। শাহজাদ বিষয়টি আমলে নেননি।

প্রকৃতপক্ষে বিশ্বকাপের মাঝে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার সূত্র ধরেই শাহজাদের সঙ্গে এসিবির দ্বন্দ্ব শুরু হয়। ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে হাঁটুর ইনজুরির কারণ দেখিয়ে আফগানিস্তানের বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ দেয়া হয়েছিল। আসরের প্রথম দুই ম্যাচ তিনি খেলেছিলেন। 

পরে শাহজাদ বলেছিলেন, ‘ইনজুরি নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমি পুরোপুরি সুস্থ আছি। কিন্তু আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি) কোনো পরামর্শ না করেই আমাকে জোর করে দল থেকে বাদ দিয়ে দেয়।’

বিশ্বকাপ চলাকালীন সময়ে শৃঙ্খলাজনিত বিষয়ে কথা বলতে ২০ এবং ২৫ জুলাই শৃঙ্খলা কমিটির সামনে শাহজাদকে হাজির হতে বলা হলেও তিনি তা করেননি। ফলে তাকে কঠিন সাজা দেয়ার বিষয়টি আগেই অনুমান করা যাচ্ছিল। 

শাহজাদের এমন কথার প্রেক্ষিতে এসিবির প্রধান নির্বাহী আসাদুল্লাহ খান বলেছিলেন, ‘সে যা বলেছে তা পুরোপুরি ভুল। আইসিসির কাছে আমরা যথাযথ মেডিকেল রিপোর্ট দেয়ার পরই পরিবর্তিত খেলোয়াড় ডেকেছি। আমি বুঝতে পারছি যে দল থেকে বাদ পড়ায় তার মন খারাপ হয়েছে। কিন্তু আনফিট কাউকে তো আর বিশ্বকাপে নেয়া যায় না।’

আরআইএস 
 

আরও পড়ুন