• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ২১, ২০১৯, ০৩:৩০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ২১, ২০১৯, ০৬:০৯ পিএম

১১ দফা দাবিতে ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের ডাক

১১ দফা দাবিতে ক্রিকেটারদের ধর্মঘটের ডাক
সাকিব আল হাসান। ছবি : সংগৃহীত

পারিশ্রমিক বাড়ানোসহ বিভিন্ন দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে বাংলাদেশের জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা। দাবি মানা না হলে ক্রিকেটীয় কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। তবে বয়সভিত্তিক দল আন্দোলনের আওতাভুক্ত নয় বলে জানিয়েছেন ক্রিকেটাররা।

সোমবার দুপুরে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এই ঘোষণা দেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমসহ আরও অনেক ক্রিকেটার। এই সময়ে নিজেদের বেতন ভাতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার দাবিতে ধর্মঘটে যাওয়ার ঘোষণা দেন ক্রিকেটাররা।

এমনকি দাবি মানা না হলে আগামী ২৫ (অক্টোবর) থেকে শুরু হতে যাওয়া ভারত সফরের প্রস্তুতি ক্যাম্পে অংশ না নেয়ার কথাও জানিয়েছেন তারা। এই সময়ে ক্রিকেটাররা মোট ১১ দফা দাবি উত্থাপন করেন। 

ক্রিকেটারদের মুখপাত্র হিসেবে সাকিব জানান, ‘দাবিদাওয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ধরনের ক্রিকেট কার্যক্রমে অংশ নেবেন না ক্রিকেটাররা। জাতীয় দল, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারসহ সবাই এই ধর্মঘটের অন্তর্ভূক্ত এবং সেটা আজ থেকে। জাতীয় লীগ থেকে শুরু করে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট বলেন, জাতীয় দলের প্রস্তুতি বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বলেন সবগুলোই এর অন্তর্ভূক্ত।’
 
তিনি আরও বলেন ‘আলোচনা সাপেক্ষে অবশ্যই সবকিছুর সমাধান হবে। দাবিগুলো যখন মানা হবে তখন আমরা আমাদের স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে যাব। আমরাও সবাই চাই ক্রিকেটের উন্নতি হোক। এখানে একটা ক্রিকেটার কেউ তিন-চার বছর খেলবে, কেউ দশ বছর আছে। যারা ভবিষ্যতে আসবে, তাদের জন্য আমরা একটা ভালো পরিবেশ রেখে যেতে চাই যেখান থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেট সামনে এগিয়ে যাবে।’

নারী দলের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে মহিলা দলের কাউকে নিতে পারিনি। কারণ সিদ্ধান্তটা হুট করেই নেয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের যদি কোনো দাবি-দাওয়া থাকে, তাহলে আমরা তাদের স্বাগতম জানাই। তারা যদি এসে একাত্মতা প্রকাশ করে, তাহলে আমরা সেগুলো প্রকাশ করবো।’

ঘরোয়া লীগের মান নিয়েও এই সময় প্রশ্ন তুলেন সাকিব। তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় অনেক সময়ই এসেছে যে, আমাদের মানটা আসলে কোন পর্যায়ের। ম্যাচে যাওয়ার আগেই অনেক সময় জেনে যায় যে, কোন দল জিতবে আর কোন দল হারবে।এটা আসলে আমাদের জন্য খুবই দুঃখজনক। এই জিনিসগুলো ঠিক করা আসলে খুবই জরুরি বলে আমরা মনে করি।’

কোয়াবের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারিও নিজেরা নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন তারা। এই ব্যাপারে ক্রিকেটার নাঈম ইসলাম বলেন, ‘আমরা খেলোয়াড়রা নির্বাচন করবো এখন থেকে যে কোয়াবের কে প্রেসিডেন্ট হবে, কে সেক্রেটারি হবে। এটা আমাদের খেলোয়াড়দের ইলেকশনের মাধ্যমে আমরা তা নির্ধারণ করবো।’

এমএইচবি

আরও পড়ুন