ইন্দোর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের সকালটা চেতশ্বর পূজারার ক্যাচ ফেলে দেয়ায় হতাশা দিয়েই বাংলাদেশ দলের শুরু হয়েছিল। তবে আবু জায়েদ রাহী প্রথম আধা ঘন্টার ভেতরেই চেতশ্বর পূজারা এবং রানের খাতা না খোলা বিরাট কোহলিকে সাজঝরে ফেরত পাঠিয়ে ম্যাচে প্রাণ ফিরিয়ে এনেছেন। 

তবে সেঞ্চুরির অপেক্ষায় থাকা মায়াঙ্ক আগারওয়াল এবং আজিঙ্কা ৬২ টেস্টে ১০৪তম ইনিংসে টেস্ট ক্যারিয়ারে ৪ হাজার রান পূর্ণ করা আজিঙ্কা রাহানের জুটিতে ভর করে ইতোমধ্যে লিড পেয়ে গেছে ভারত। 

বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানের জবাবে লাঞ্চ বিরতি পর্যন্ত ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৮৮ রান। এরই মধ্যে স্বাগতিকরা ৩৮ রানের লিড পেয়েছে। মায়াঙ্ক আগারওয়াল ৯০ এবং আজিঙ্গা রাহানে ৩৪ রানে অপরাজিত আছেন। 

আবু জায়েদ রাহীর বলে ব্যক্তিগত ৩২ রানে থাকা অবস্থায় পূজারা স্লিপে ক্যাচ দিলেও তা ধরতে পারেননি মেহেদী হাসান মিরাজ। তাতে টাইগার শিবিরে হতাশা বেড়েছিল। এরপর পূজারা ফিফটি তুলে নিলেও ৭২ বলে ৫৪ রান করে চতুর্থ স্লিপে মিরাজের বদলে ফিল্ডিংয়ে নামা সাইফ হাসানের দারুণ ক্যাচে পরিণত হয়ে ফিরে যান। আর তাতে ভেঙে যায় দ্বিতীয় উইকেটে মায়াঙ্ক-পূজারার ৯১ রানের জুটি। পূজারার বিদায়ের খানিক পরই ৯৮ বলে নিজের চতুর্থ টেস্ট ফিফটি পূরণ করেন অষ্টম টেস্ট খেলতে নামা মায়াঙ্ক।  

পূজারাকে তুলে নেয়ার পর রাহী তার পরের ওভারেই তুলে নেন বিরাট কোহলির উইকেট। রাহীর করা বল কোহলির প্যাডে লাগলে লেগ বিফোরের আবেদন করা হলেও আম্পায়ার তাতে সাড়া দেননি। তবে রিভিউতে দেখা যায় বল স্টাম্পে সরাসরি আঘাত হানে। পর আম্পায়ার আঙুল তুলে দিলে বিরাট রান না করেই ক্রিজ ছাড়েন।

এরপর চতুর্থ উইকেটে মায়াঙ্ক-রাহানের ৬৯ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটির উপর ভর করে ভারত লিড পায়। সেই লিডকে বাড়িয়ে নিতে এই দুই ব্যাটসম্যান আস্থার সঙ্গে ব্যাট করে রানের চাকা সচল রেখেছেন। 

আরআইএস