• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০১৯, ০৪:০৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২১, ২০১৯, ০৪:২৯ পিএম

সৌম্য-শান্ত’র ব্যাটে চড়ে এশিয়া কাপ ফাইনালে বাংলাদেশ 

সৌম্য-শান্ত’র ব্যাটে চড়ে এশিয়া কাপ ফাইনালে বাংলাদেশ 
ছবি : এসিসি

প্রত্যাশার পারদটা ছিল বিশাল। টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন এবারের আসরে ফেবারিট তারাই। তাতে সমর্থন ছিল ভারতীয় অধিনায়ক রবি শরৎেরও। ইমার্জিং এশিয়া কাপের সবচেয়ে অভিজ্ঞ দল নিয়ে বাংলাদেশ শিরোপা উঁচিয়ে ধরা থেকে এখন দূরে দাঁড়িয়ে মাত্র এক ধাপ। 

আগের তিন আসরে দুই বার সেমিফাইনাল খেললেও কোনো আসরেই ফাইনালে পৌঁঁছাতে পারেনি বাংলাদেশের উঠতি তারকারা। তবে এবার আর তা হয়নি। সৌম্য সরকার ও অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত'র ব্যাটে চড়ে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আফগানিস্তানকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। 

গ্রুপ পর্বে দাপুটে পারফরম্যান্স দেখানো বাংলাদেশর সামনে সেমিফাইনালেও হুমকি হতে পারেনি আফগানিস্তান। টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া বাংলাদেশকে ২২৯ রানের লক্ষ্যে ছুঁড়ে দেয় আফগানরা। যা ৬১ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেট হাতে রেখে টপকে যায় টাইগাররা। 

আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের তোপের মুখে পড়েন আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানরা। স্কোরকার্ডে ১০০ রান তোলার আগেই সাজঘরে ফেরেন পাঁচ ব্যাটসম্যান। আফগানদের হয়ে শক্ত প্রতিরোধ গড়েন কেবল দারভিশ রাসূলি। 

সৌম্য সরকারের বলে আউট হওয়ার আগে সমান ৭ চার ও ছক্কায় ১২৮ বলে ১১৪ রান করেন তিনি। শেষদিকে ওয়াহিদুল্লাহ শাফাকের ৩৪ ও তারিক আস্তানিকজাই ৩৩ রান করলে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ২২৮ রান তুলে আফগানিস্তান। বাংলাদেশের পক্ষে হাসান মাহমুদ ও সৌম্য সরকার ৩ ও তানভীর ইসলাম পান ২ উইকেট। 

জবাব দিতে নেমে আরও একবার ব্যাট হাতে নিজের সামর্থ্যের প্রমান দেন সৌম্য। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর ব্যাট ও বল হাতে উজ্জ্বল এই তারকা ৩ চার ও ছক্কায় ৫৯ বলে করেন ৬১ রান। অধিনায়ক শান্তও করেন ৬৮ বলে ৫৯ রান।

এই দুই জনের বিদায়ের পর বাকি কাজটা শেষ করেন ইয়াসির আলি চৌধুরি ও আফিফ হোসেন ধ্রুব। ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৩৬ বলে ধ্রুব ৪৫ রান ও ১ চার ও ছক্কায় ৫৬ বলে ইয়াসির ৩৮ রান করলে সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।   

এমএইচবি

আরও পড়ুন