• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০১৯, ০৮:১৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২১, ২০১৯, ০৮:২৩ পিএম

 গোলাপি জ্বরে আক্রান্ত কলকাতা

 গোলাপি জ্বরে আক্রান্ত কলকাতা
গোলাপি আলোতে সেজেছে কলকাতা -ছবি : কলকাতা প্রতিনিধি

ক্রি কে ট  উ ম্মা দ না

.......,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,

রাত পোহালেই বেজে যাবে ক্রিকেট দামামা। ভারতের প্রথম দিন রাতের ক্রিকেট টেস্ট ম্যাচ শুরু হচ্ছে ইডেন গার্ডেন্সে। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের সদ্য নির্বাচিত সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলির ব্যক্তিগত আমন্ত্রণে সকালেই কলকাতায় আসছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। থাকবেন ভারতের ক্রিকেট এবং রাজনীতি জগতের হুজ হু’রাও।

সৌরভ আগেই জানিয়েছিলেন, ম্যাচটি খেলা হবে গোলাপি রঙের বলে। এটাও কলকাতার ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে আরও একটা নতুন আকর্ষণের বিষয় হয়ে উঠেছে। সৌরভ গাঙ্গুলি এও বলেছিলেন, ভারত-বাংলাদেশ টেস্ট ম্যাচ ঘিরে কলকাতাকে পিঙ্ক সিটি করে ফেলা হবে। সেই মতোই ইডেন গার্ডেন্স, তার পার্শ্ববর্তী এলাকা, গঙ্গার পাড়ের বিস্তীর্ণ এলাকা, কলকাতার বিশেষ ল্যান্ডমার্ক সহ পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের ভবনগুলোকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে গোলাপি রঙের আলোয়।

ইডেন তো বটেই অফিস-চত্বরের বহুতল, হাওড়া ব্রিজ, বিবেকানন্দ সেতু, ফোর্ট উইলিয়াম, শহীদ মিনার, দ্য ফর্টি টু (কলকাতার উচ্চতম ভবন) সহ শহরের একাধিক এলাকা সাজিয়ে তোলা হয়েছে নানা ধরনের গোলাপি আলো এবং লেসার দিয়ে। কলকাতার স্ট্রিটলাইটগুলোর পাশাপাশিও লাগানো হয়েছে গোলাপি রঙের আলো ও বল। সব মিলিয়ে বিকেলের পড়ন্ত আলো মিলিয়ে যাওয়ার আগেই দিগন্তে ফুটে উঠেছে গোলাপি আভা। সব মিলিয়ে আক্ষরিক অর্থেই যেন গোলাপি-জ্বরে আচ্ছন্ন হয়ে আছে তিলোত্তমা কলকাতা।

শুক্রবার (২২ নভেম্বর) ক্রিকেট ম্যাচ নিয়েও উন্মাদনা চরমে পৌঁছেছে। অভিনব এই ম্যাচটির টিকিটের চাহিদা আকাশছোঁয়া। অনলাইনে আগেই টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে গেছে। এই প্রতিবেদন  লেখা পর্যন্ত ইডেন গার্ডন্সের সামনে ডে টিকিটের জন্য রয়েছে দীর্ঘ লাইন। পরপর পাঁচদিন না হোক, অন্তত একদিন খেলা দেখতে পারলেই যেন বর্তে যান মানুষ। ময়দানের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারাও বলছেন, এই সময় টেস্ট ক্রিকেটের টিকিটের এত চাহিদা থাকার কথা নয়। হয়তো গোলাপি টেস্টের জন্যই উন্মাদনা অনেকটা বেড়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা থেকে এসে পৌঁছেছেন দুই দলের ক্রিকেটারদের প্রিয় চা-ওয়ালা ভুলুচন্দ্র ঘোষ। বাংলাদেশ ক্রিকেট ফ্যান ভুলুবাবু বাংলাদেশ দলের সঙ্গে প্রায় সর্বত্র ঘোরেন। তার তৈরি মশলা চা ভালোবাসেন বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটারই। ২০০৮ এ ঢাকায় ভারত- বাংলাদেশ একদিনের ম্যাচে প্রথম তৎকালীন ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনিকে তার স্পেশাল চা খাইয়েছিলেন ভুলুবাবু। সেই থেকে তার চায়ের ভক্ত ধোনিও। এরপর থেকে ভারত-বাংলাদেশ যতবার মুখোমুখি হয়েছে, ততবারই ধোনিকে চা খাইয়েছেন ভুলু ঘোষ। তিনিই কলকাতার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ধোনির পছন্দ কম মশলা, আদা ও বেশি লেবু দেয়া চা।

ভুলুচন্দ্র ঘোষকে ধোনি নাম দিয়েছিলেন চা-দাদা। ভুলুবাবু জানেন, টেস্ট ক্রিকেট থেকে বহু আগেই অবসর নিয়েছেন ধোনি। বিশ্বকাপের পর ধোনি যে একটিও অফিশিয়াল ক্রিকেট ম্যাচ খেলেননি, তাও জানেন তিনি। তবু ইডেনে যদি দেখতে পান, এই আশায় চায়ের সরঞ্জাম নিয়ে হাজির হয়ে গেছেন ভুলুচন্দ্র ঘোষ। 

ডিডিজি/এসএমএম

আরও পড়ুন