• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২২, ২০১৯, ০৪:৪৪ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২২, ২০১৯, ০৪:৫৪ পিএম

লিটনের ‘কনকাশন সাব’ মিরাজ 

লিটনের ‘কনকাশন সাব’ মিরাজ 
বাউন্সারে আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন দাস।

ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামির বাউন্সারে মাথায় আঘাত পাওয়ার পর ‘সাপার ব্রেক’ এর আগে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন লিটন দাস। বিরতির পর ইশান্ত শর্মার বলে বোল্ড হন এবাদত হোসেন। তার বিদায়ের পর ব্যাট হাতে নেমেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, যিনি ইডেন টেস্টের একাদশেই ছিলেন না।

চলতি বছরের আগস্টে লর্ডস টেস্টে অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের পঞ্চম ও শেষ দিনে স্টিভেন স্মিথের ইনজুরির কারণে প্রথমবারের মতো তার বদলি হিসেবে নামেন মার্নাস লাবুসচাগনে। টেস্টে নতুন নিয়মের সাহায্য নিয়ে এবার সেই সুযোগ কাজে লাগালো বাংলাদেশ দল। 

অতি সম্প্রতি আইসিসি ম্যাচে কোনো ক্রিকেটার গুরুতর আঘাত পেলে সেটির গুরুত্ব বুঝে খেলোয়াড় বদলের নিয়ম চালু করেছে। যদিও বললি খেলোয়াড়কে ইনজুরিতে পড়া খেলোয়াড়ের মতোই যতটা সম্ভব একই ধরনের ক্রিকেটার হতে হবে। ইনজুরি কতটা গুরুতর তা নির্ণয় করে এবং একই ধরনের বিকল্প ক্রিকেটার স্কোয়াডে আছেন কি না- এ সকল বিষয় বিবেচনা করে বদলির অনুমতি ম্যাচ রেফারি এখন থেকে দিতে পারবেন। 

ব্যাটিং চালিয়ে গেলেও মাঝে একবার লিটনকে ফিজিও মাঠে এসে তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যান। তবে প্রথম সেশন শেষের আগ মুহূর্তে লিটন শারীরিকভাবে আবারো সমস্যা অনুভব করলে তিনি বিষয়টি আম্পায়ারকে অবহিত করেন। এরপর আবারো ফিজিও মাঠে নামার পর তাকে পর্যবেক্ষণ করেন। তবে এবার আর লিটন খেলা চালিয়ে যেতে নিজের অক্ষমতার কথা জানান। 

সাপার ব্রেকের পর তাই নাঈম হাসানের সঙ্গে ব্যাট করতে নামেন এবাদত হোসেন। তার আউটের পর সবাইকে অবাক করে দিয়ে ক্রিজে আসেন মিরাজ, যিনি আসলে কনকাশন সাব হিসেবে এই টেস্টে মাঠে নামলেন।

এখন পর্যন্ত গোলাপি বলের সামনে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়া চরম বাংলাদেশের সংগ্রহ ৭ উইকেটে ৯৮ রান। 

সফরকারীদের শুরুটা অবশ্য একেবারে খারাপ হয়নি। দুই চার হাঁকিয়ে তরুণ সাদমান ইসলাম অভয় দিয়েছিলেন যত গর্জে গোলাপি বল আসলে তত বর্ষে না। তবে খানিক বাদেই তা ভুল প্রমান করে ব্যাটসম্যানদের আউট হওয়ার মিছিলটা শুরু করেন ধারবাহিকভাবে ব্যর্থ হওয়া ইমরুল কায়েস। 

দলের সংগ্রহটা যখন ১৫ রান, তখন ইশান্ত শর্মার বল এসে লাগে ইমরুলের পায়ে। শুরুতে আঙ্গুল তোলেননি আম্পায়ার, তবে ভারত রিভিউ নিলে সিদ্ধান্ত বদলে আউট হন তিনি। এরপর উইকেটে এসেই যেন ফিরে যাওয়ার তাড়া পেয়ে বসে অধিনায়ক মুমিনুল হককে। উমেশ যাদবের বলে রোহিত শর্মার বলে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এরপর অধিনায়কের মতোই তিনিও ফেরেন কোনো রান না করে আউট হন মোহাম্মদ মিঠুন। ব্যাটসম্যানদের গোল্ডেন ডাকের হ্যাটট্রিক করে আউট হয়ে গেছেন দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। 

২৯ রানের ইনিংস খেলে একা যেই প্রতিরোধটা গড়ছিলেন সাদমান, তাও শেষ হয়েছে উমেশ যাদবের বলে ক্যাচ দিয়ে তার সাজঘরে ফেরায়। সাদমানের পর দুই অংকের ঘরে পৌঁছানো লিটন দাস রিটায়ার্ড হার্ট হওয়ার আগে করেন ২৪ রান। 

ভারতের পক্ষে উমেশ যাদব ৩টি, ইশান্ত শর্মা ৩টি এবং মোহাম্মদ শামি একটি উইকেট লাভ করেন।

আরআইএস