• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৫, ২০২০, ০৫:৫৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৫, ২০২০, ১০:১৮ পিএম

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিন

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ চ্যাম্পিয়ন ফিলিস্তিন
চ্যাম্পিয়ন দলের সাথে ফটোসেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ● সংগৃহীত

মুজিবর্ষের বিশেষ আসর। জাঁকজমকপূর্ণতার ছোঁয়া দেয়ার চেষ্টা তাই আসর জুড়ে। কতটা পেরেছে বাফুফে, তাতে প্রশ্নচিহ্ন এঁকে দেয়ার জায়গাটা আছে নিশ্চয়ই। তবে তা ছাপিয়ে স্বাগতিক বাংলাদেশের সমর্থকদের মনে সবচেয়ে হতাশার নামটা বোধ হয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের শিরোপা লড়াইয়ে থাকতে না পারা। তাদের ছাড়াই হয়ে গেল মুজিববর্ষের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনাল। যে ফিলিস্তিনের কাছে হেরে আসর শুরু জামালদের, তারাই ঘরে তুলেছে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ষষ্ঠ আসরের শিরোপা। বলে রাখা ভালো, আসরের বর্তমান চ্যাম্পিয়নও তো তারাই। 

সেমিফাইনালে বুরুন্ডির বিপক্ষে ফিলিস্তিনের দাপুটে পারফরম্যান্স ছিল পুরো ম্যাচ জুড়ে। তবে স্রোতের বিপরীতে বাংলাদেশ গোল খেতে খেতে একেবারে সংখ্যাটা হয়ে যায় তিন। তাতে ফুটবলারদের ইনজুরি দূর্ভাগ্যেরও দায় আছে বটে। তবে দিনশেষে ব্যর্থতাটা তো জামালদেরই। 

বাংলাদেশ যে তিন গোল হজম করেছে, তা বুরুন্ডিকে ফিরিয়ে দিয়েছে ফিলিস্তিন। একপেশে ফাইনালে তারা জিতেছে ৩-১ গোলের ব্যবধানে। এগিয়ে যেতে ফিলিস্তিনের সময় লেগেছিল মাত্র তিন মিনিট। ফিলিস্তিনের অধিনায়ক সামেহ মারাবা ক্রসে বল বাড়িয়ে দেন মোহাম্মদ ডারউইশকে। তিনি চিপ করে বল বাড়িয়ে দেন ডি বক্সের মধ্যে থাকা খালেদ সালেমকে। দারুণ ফিনিশিংয়ে সেটা জালে জড়াতে ভুল করেননি সালেম।

ছয় মিনিট বাদেই ব্যবধান দিগুন করে নেয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। মাহমুদ আবুওয়ারদার নেয়া কর্নার কিক বুরুন্ডির রক্ষণভাগের খেলোয়াড় ক্লিয়ার করেন। কিন্তু বল আবার চলে যায় মাহমুদের কাছে। তিনি সেখান থেকে ক্রসে আবার ডি বক্সের মধ্যে পাঠান। বুরুন্ডির রক্ষণভাগের একজন খেলোয়াড় হেড দিয়ে ক্লিয়ার করেন। বল চলে যায় মারাবার কাছে। মারাবা ট্যাপ করেন। বল সবার মাথার উপর দিয়ে গিয়ে গোললাইনের ভেতরে পড়ে। ২-০ তে এগিয়ে যায় ফিলিস্তিন। 

২০ মিনিটে গোল শোধ করার সুযোগ পেয়েছিল বুরুন্ডি। কিন্তু ফিলিস্তিনের গোলরক্ষক তৌফিক আবুহাম্মাদে রক্ষা পায় মধ্যপ্রাচ্যের দলটি। ২৬ মিনিটে ব্যবধান ৩-০ করে ফেলে যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিন। ডি বক্সের মধ্যে বল পেয়ে শট নেন খালেদ সালেম। কিন্তু তার নেয়া শট পোস্ট কাঁপিয়ে ফিরে আসে। সেখান থেকে বল পান লাইথ খারুব। তার নেওয়া শট পোস্ট ঘেষে খুঁজে নেয় জাল। এরপর বেশ কয়েকটি আক্রমন চালিয়েছিল বুরুন্ডি, কিন্তু পাচ্ছিলো না কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা। 

৬০ মিনিটে গিয়ে তার দেখা পায় আফ্রিকার দেশটি।  কর্নার থেকে বল চলে যায় ব্লানচার্ড গাবোনজিজার কাছে। বাম পায়ে তার নেয়া জোরালো শট ফিলিস্তিনের রক্ষণভাগের একজনের হাতে লেগে চলে আসে আসমান দিকুমানার কাছে। তার নেওয়া শট জালে জড়ায়। তবে এই গোলে যা ব্যবধানই কমেছে। ঠিকই বড় জয় নিয়ে নিজেদের শিরোপা অক্ষুন্ন রেখেছে ফিলিস্তিন। মুজিববর্ষে ক্রীড়াঙ্গনের প্রথম আসরে হয়েছে চ্যাম্পিয়ন।