• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২০, ০৯:২৭ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৬, ২০২০, ০৯:২৮ এএম

আজকের এই দিনে

সর্বকালের ‘সেরা’ টেস্টের সাক্ষী অ্যাডিলেড

সর্বকালের ‘সেরা’ টেস্টের সাক্ষী অ্যাডিলেড
ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয় নিশ্চিত করার পর কোর্টলি ওয়ালস ও তার সতীর্থদের বুনো উল্লাস। ফটো : গেটি ইমেজ

বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত অ্যাডিলেড ওভালের নাম। ২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠা টাইগাররা এই ভেন্যুতেই তাদের লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়েছিল। সেই অ্যাডিলেড ওভালের মাঠ বুকে ধারণ করে আছে অসংখ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ। তবে অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধকার একটি টেস্ট ম্যাচটি আজও ক্রিকেটপ্রেমীদের হৃদয়ে রোমাঞ্চ উপহার দেয়ার জন্য দাগ কেটে রয়েছে।

১৯৯৩ সালের ২৬ জানুয়ারি, অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে মাত্র ১ রানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ১-১ ব্যবধানে সমতায় ফিরেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচটিকে সর্বকালের সেরা টেস্ট ম্যাচগুলোর একটি হিসেবে আজও এক বাক্যে সবাই বিবেচনা করে থাকেন। চারদিনে শেষ হওয়া এই ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নামা ক্যারিবীয়রা ২৫২ রান করে। জবাবে অজিরা ২১৩ রানে গুঁটিয়ে গেলে ৩৯ রানের লিড পায় সফরকারীরা। দ্বিতীয় ইনিংসে রিচি রিচার্ডসনের নেতৃত্বাধীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অজি বোলার টিম মের অফ ব্রেক বোলিংয়ের কাছে দিশেহারা হয়ে পড়ে। মাত্র ১৪৬ রানেই শেষ হয়ে যায় ক্যারিবীয়দের দ্বিতীয় ইনিংস। টিম মে ৬.৫ ওভারে ৩ মেইডেনসহ মাত্র ৯ রান দিয়ে তুলে নেন ৬ উইকেট। 

ফলে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৮৬ রান। সেই টেস্টে অভিষিক্ত অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার ৫৪ রানের ইনিংস খেলে দলকে একাই টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে যখন তিনি আউট হন, তখন দলের স্কোর ৯ উইকেটে ১৪৪ রান। অর্থাৎ তখনো জয়ের জন্য ক্যাঙ্গারুদের দরকার ছিল ৪২ রান, আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ তো প্রতিপক্ষের শেষ উইকেট তুলে নিয়ে উদযাপনের জন্য প্রস্তুত হয়ে ছিল।   

তবে এমন সময়ে চার বছর পর টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে টিম মে অপরাজিত ৪২ রানের ইনিংস খেলে জাতীয় নায়কই বনে যাচ্ছিলেন। রেকর্ড সংখ্যক মানুষ সেদিন টিভিতে খেলাটি উপভোগ করেছিল। ক্রেইগ ম্যাকডার্মটের সঙ্গে জুটি বেঁধে দলকে জয়ের বন্দরে নিতে যাচ্ছিলেন টিম মে। কিন্তু কোর্টলি ওয়ালসের উইকেটের পেছনে জুনিয়র মারের গ্লাভসে ক্যাচ দিয়ে ম্যাকডার্মট স্বাগতিক দর্শকদের শোকের সাগরে ভাসিয়ে দেন। মাত্র ১ রানের নাটকীয় জয় পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যদিও ম্যাকডার্মটের গ্লাভস স্পর্শ করে বল উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে গিয়েছিল কি না, তা নিয়ে এখনও সন্দেহ রয়েছে। আম্পায়ার ড্যারেল হেয়ার কিন্তু বোলার ও ফিল্ডারদের আবেদনে সাড়া দিয়ে ঠিকই আঙুল তুলে দিয়েছিলেন। তাই শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার জন্য দিনটি বিষাদে পরিণত হয়। দুই ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন ক্যারিবীয় কিংবদন্তি কার্টলি অ্যামব্রোস। 

আরআইএস   
 

আরও পড়ুন