• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২০, ০৪:৪৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জানুয়ারি ২৭, ২০২০, ০৩:৫০ পিএম

‘আমরা অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন হবো’

‘আমরা অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন হবো’
রুয়েল মিয়া ● ফেসবুক থেকে

জাতীয় লীগে ২৬ রানে ৮ উইকেট নিয়ে বেশ হইচই ফেলে দিয়েছিলেন তরুণ পেসার রুয়েল মিয়া। তবুও জায়গা হয়নি অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ দলে। আসরের মাঝপথে পেসার মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর ইনজুরিতে ডাক পেয়েছেন যুব বিশ্বকাপের দলে। ২৮ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) ঢাকা ত্যাগ করবেন দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্দেশে। তার আগে দৈনিক জাগরণকে একান্ত সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তরুণ এই ক্রিকেটার। জানালেন যুব বিশ্বকাপে নিজের ও দলের লক্ষ্য নিয়ে নানা প্রত্যাশার কথা। 

.................

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ▪▪ মাহমুদুল হাসান বাপ্পি

জাগরণ : শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে যাচ্ছেন, কেমন লাগছে?

রুয়েল মিয়া : শুকরিয়া। আল্লাহের অশেষ মেহেরবানি। এই অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। মা-বাবার দোয়া ছিল, শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপে যাচ্ছি। একবার যখন সুযোগ পেয়েছি মন-প্রাণ দিয়ে দেশের জন্য খেলবো। দলকে নিজের সর্বোচ্চটা দেয়ার চেষ্টা করবো ইনশা আল্লাহ।

জাগরণ : পরিবারের সবাই খুশি নিশ্চয়ই?

রুয়েল মিয়া : হ্যাঁ। শুধু পরিবার নয়, বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছি, আমরা সিলেটের সবাই-ই খুশি।

জাগরণ : মৃত্যুঞ্জয়ের জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন, নিশ্চয়ই এমনভাবে দলে জায়গা পাবেন চিন্তা করেননি? দলের কারও সঙ্গে কথা হয়েছে সুযোগ পাওয়ার পর?

রুয়েল মিয়া : না। তবে এভাবে সুযোগ পাবো তেমনটাও চাইনি। আমি দক্ষিণ আফ্রিকায় গেলে অবশ্যই দলের সবাই অনেক অনেক খুশি হবে।

জাগরণ : জাতীয় লীগে ২৬ রানে ৮ উইকেট পেয়েছিলেন, যা এখন পর্যন্ত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বাংলাদেশের সেরা বোলিং ফিগার। তবুও বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সুযোগ না পাওয়ায় কী খারাপ লেগেছিল?

রুয়েল মিয়া : না, নিজের ওপর বিশ্বাস ছিল। হাল ছাড়িনি। কষ্টও করেছি। শেষ পর্যন্ত সফল হয়েছি।

জাগরণ : মাঝপথে যোগ দিচ্ছেন দলের সঙ্গে, মানিয়ে নিতে অসুবিধা হবে বলে মনে হয়?

রুয়েল মিয়া : না, আমি এমন কোনও চিন্তা-ভাবনা মাথায় আনছি না। আমি মাঠে নামলে শতভাগ দেয়ার চেষ্টা করি দলের জন্য।

জাগরণ : বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে সবসময়ই বাংলাদেশ ভালো দল। এর মধ্যে গত বছর বাংলাদেশের যুবারা দারুণ খেলেছে। প্রত্যাশাও তাই অনেক বেশি, আপনার কী মনে হয় এমন প্রত্যাশা দলের ওপর চাপ বাড়াচ্ছে?

রুয়েল মিয়া : না, চাপের কিছু নাই। দলের সবাই-ই ভালো ফর্মে আছে। সবাই একে-অপরকে সাহায্য করে। সবার সঙ্গে সবার বোঝাপড়া দারুণ। ইনশা আল্লাহ, আমরা ভালো ফলাফল করবো।

 

জাগরণ : কোয়ার্টার ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। তারা আবার টুর্নামেন্টের স্বাগতিক, কী মনে হচ্ছে চ্যালেঞ্জিং হবে ব্যাপারটা?

রুয়েল মিয়া : হ্যাঁ, অবশ্যই। কারণ ওদের মাঠে খেলা। ওরা ভালো করে জানে, কী করতে হবে। আর আমরা আমাদের নিজেদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করবো। সেরাটা দিলে আমরা অবশ্যই জিতবো। 

জাগরণ : দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে পেসারদের বাড়তি সুবিধা পায় সবসময়। নিশ্চয়ই আপনাকেও এটা বাড়তি সহায়তা দেবে ভালো ফলাফল করতে?

রুয়েল মিয়া :  স্বাভাবিক খেলাটা খেললেই সাফল্য পাবো বলে আমার বিশ্বাস। 

জাগরণ : আপনার কী মনে হয় বাংলাদেশের শিরোপা জেতার সামর্থ্যে আছে?

রুয়েল মিয়া : হ্যাঁ, অবশ্যই। আমাদের সব বিভাগেই ভালো ক্রিকেটার আছে। আমরা অবশ্যই চ্যাম্পিয়ন হবো, ইনশাআল্লাহ। এটাই সবার লক্ষ্য।

এমএইচবি/এসএমএম