মিরপুর স্টেডিয়ামের ভেতরে ঢুকতেই যেকেউ বুঝে যাবেন আজ বিশেষ কিছু হচ্ছে এখানে। চারপাশ সজ্জিত হয়েছে লাল-নীল বাতি ও বড় বড় সব ব্যানার। তাতে কাদের ছবি শোভা পাচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

নিরাপত্তারক্ষী, বিসিবির কর্মকর্তা আর সাংবাদিক সবাই গুনছেন অপেক্ষার প্রহর। আর ঘণ্টা দুয়েক পরই এখানে বরণ করে নেয়া হবে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশকে বিশ্বকাপ জেতানো অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে।

তার জন্য সব রকমের প্রস্তুতিই শেষ, এখন কেবল আকবরদের আগমনের অপেক্ষা। মিরপুরে মাঠেই ট্রফি রাখার জন্য বসানো হয়েছে টেবিলে। যেখানে এনেই রাখা হবে বিশ্বকাপের শিরোপা।

কেবল বিসিবি কার্যালয়ই নয়, সাজানো হয়েছে বিসিবি একাডেমিকেও। যেখানেই থাকতেন আকবর আলীরা। সমর্থকরাও ভীড় করেছেন হিরোদের বরণ করতে।

বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে যুবাদের বহনকারী বিমান। সেখানে কেক কাটাসহ আছে বেশকিছু আয়োজন। এরপরই যুব ক্রিকেটারদের নিয়ে আসা হবে মিরপুরে, এখানেই সংবাদ সম্মেলনসহ মূল আয়োজন থাকছে।

শ’খানেক বাইক, দুই ট্রাক আর ব্যান্ড দল। প্রায় হাজার দুয়েক মানুষ সঙ্গী তাতে। তারা গভীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন যুব বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশ দলকে বরণ করতে। মিরপুর যেন তৈরি হয়েছে উৎসবের নগরীদের।

আর ঘণ্টাখানেক পর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখবেন আকবর আলীরা। তাদের অভ্যর্থনা জানাতে মিরপুর থেকেই যাচ্ছেন প্রায় হাজার দুয়েক সমর্থক।

যাদের কারো গায়ে শোভা পাচ্ছে বাংলাদেশের জার্সি। কেউ আবার গায়ে ‘চ্যাম্পিয়ন’ লেখা সম্বলিত সাদা টি-শার্ট। যেখানে শোভা পাচ্ছে যুবাদের বিশ্বজয়ের আনন্দের ঐতিহাসিক সব ছবি। কেউ বা পুরো গায়েই রঙ দিয়ে সেজেছেন বাঘ, হাতে নিয়েছেন প্রতীকি বিশ্বকাপ ট্রফি। যাদের জন্য এতো আয়োজন এখন শুধু তাদের আগমনের পালা।

এমএইচবি/একেএস