• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০, ০১:২৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২০, ০১:২৮ পিএম

১৯ বছরের যুবার জাদুতে হেরেছেন নেইমাররা

১৯ বছরের যুবার জাদুতে হেরেছেন নেইমাররা

বয়সটা মাত্রই ১৯। দেশ নরওয়েও ফুটবলের বড় কোনো পরাশক্তি নয়। তবে ঠিকই আলো কেড়ে নিচ্ছেন ওই দেশের ১৯ বছরের ফুটবলার আর্লিং ব্রাট হরল্যান্ড। অস্ট্রিয়ান ক্লাব সালজবার্গের হয়ে আলো ছড়িয়ে বরুসিয়া ডর্টমুন্টে যোগ দিয়েছেন মাস খানেক আগে। 

জার্মান ক্লাবটির হয়ে অভিষেকেই হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। ইতোমধ্যে বুন্দেসলিগায় ৫ ম্যাচে করে ফেলেছেন ৮ গোল! আর এবার তার পায়ের জাদুতে হেরে গেল প্যারিস সেন্ট জার্মেই। ডর্টমুন্ডের হয়ে চলতি মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগে ফের সুযোগ পেয়ে করলেন জোড়া গোল। যাতে সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ১০ গোল করার কীর্তিটা নিজের করে নিলেন হরল্যান্ড।

অর্লান্দের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে পিএসজিকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে ডর্টমুন্ড। 
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ঘরের মাঠ সিগন্যাল ইদুনা পার্কে নেইমার-কিলিয়ান এমবাপ্পে-অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়াদের আতিথেয়তা দেয় লুসিয়ান ফাভরের শিষ্যরা। 

কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা দিয়ে রাখার জন্য ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে ওঠে দু’দল। কিন্তু প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি কেউ। বিরতির পর অবশ্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি ডর্টমুন্ডকে। আশরাফ হাকিমির কাছ থেকে বল পান রাফায়েল গুরেইরো। তিনি শট নেন পিএসিজর গোলমুখে। কিন্তু বাধা পেয়ে বল চলে আসে অর্লান্দের পায়ে। তরুণ তারকা গোল করতে ভুল করেননি। ৬৯ মিনিটে ডর্টমুন্ড সমর্থকদের উল্লাসে ভাসান অর্লান্দ। 

৭৫ মিনিটে সুযোগও পেয়ে যায় পিএসজি। এমবাপ্পের পাস থেকে বল পেয়ে ব্যবধানটা ১-১ করেন নেইমার। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর চ্যাম্পিয়নস লিগে ফিরেই গোল পেলেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। কিন্তু উদযাপনটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি টমাস টুখেলের শিষ্যদের। 

দুই মিনিট পরেই নেইমারের গোল ব্যর্থ করে বদলি খেলোয়াড় জিওভান্নি রেয়নার কাছ থেকে বল পেয়ে ডর্টমুন্ডকে জয়সূচক গোল এনে দেন অর্লান্দ। চেষ্টা সত্ত্বেও বাকি সময় আর গোলের দেখা পায়নি ফরাসি জায়ান্টরা। এই জয়ে শেষ আটে এক পা দিয়ে রাখলো ডর্টমুন্ড। অ্যাওয়ে গোল থাকায় কোয়ার্টারে যেতে হলে ঘরের মাঠের ফিরতি লেগে ১-০ গোলে জিততে হবে পিএসজিকে।

এমএইচবি