• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০, ০৫:১০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২০, ০৬:১০ পিএম

প্রথম দিনের শেষে স্বস্তি নাইম-জায়েদে

প্রথম দিনের শেষে স্বস্তি নাইম-জায়েদে
নিজের শেষ ওভারে ‘গলার কাঁটা’ হয়ে থাকা আরভিনকে ফিরিয়ে স্বস্তিতে দিন শেষ করার উপলক্ষটা এনে দিয়েছেন নাইম। ছবি- ইএসপিএন

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্ট নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিল অনেকে। সহজেই তাদের হারিয়ে ফের জয়ের পথে ফেরার কল্পনাও হয়তো মনে মনে করে রেখেছিলেন। কিন্তু মিরপুর টেস্টের প্রথম দিনশেষে অন্তত তা মনে হচ্ছে না। বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। প্রথম দিনশেষে ৬ উইকেট হারালেও তারা করে ফেলেছে ২২৮ রান। বাংলাদেশের পক্ষে দিনের ৬ উইকেট ভাগাভাগি করেছেন পেসার আবু জায়েদ রাহী ও স্পিনার নাইম হাসান। 

প্রথমজন সারা দিনে বল করেছেন ১৬ ওভার। তবে নাইম হাসান সফল হয়েছেন বলেই কি না, হাত ঘুরাতে হয়েছে ৩৬ ওভার। উইকেটও পেয়েছেন এই তরুন, সাজঘরে ফিরিয়েছেন চার জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানকে। দিনের শুরুতে বাংলাদেশের বেক থ্রুটা অবশ্য আবু জায়েদের হাত ধরে। 

প্রথম ৬ ওভারে মাত্র এক রান দিয়ে তৈরি করা চাপটা কাজে লাগিয়েছেন তিনিই। জিম্বাবুয়ের স্কোরকার্ডে রান যখন ৭, তখন নাইমের ক্যাচে পরিণত করেছেন কেভিন কাসুজাকে। এরপর  ক্রিজে যেন আঠা লাগিয়ে বসেছিলেন দুই জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যান প্রিন্স মাসভরে ও ক্রেইগ আরভিন। দুইজন মিলে গড়েছিলেন ১০১ রানের জুটি। ওই জুটি ভেঙেই শুরু নাইমের। নিজের বলে নিজেই ক্যাচ ধরে মাসভরেকে ফেরান ৬৪ রানে।

জুটি ভাঙলেও সেঞ্চুরি করতে দৃঢ়প্রত্যয়ী অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন থেকে যান ক্রিজে। মাঝে সিকান্দার রাজা, ব্রেন্ডন টেইলর আর তিমিচান মারুমা সাজঘরে ফেরত গেলেও উইকেটের অন্যপ্রান্তে ঠিকই অবিচল থাকেন। শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরিও পেয়ে যান। ১৩ চারে ২২৭ বলে ১০৭ রান করা আরভিনকেও ফেরাতে হয় ওই নাইমকেই। 

দিনশেষে নাইমের বোলিং ফিগারটা দাঁড়িয়েছে এমন- ৩৬ ওভারে ৮ মেইডেন ৬৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট। ১৬ ওভারে ৫১ রান দিয়ে রাহী ২ উইকেট পেলেও ২১ ওভারে ৭৫ রান দিয়ে তাইজুল ও ১৭ ওভারে ২৬ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন এবাদত হোসেন। 

এমএইচবি