• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০, ০২:২৮ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২০, ০৫:০৯ পিএম

নাঈম জাদু দেখালেন দ্বিতীয় ইনিংসেও

নাঈম জাদু দেখালেন দ্বিতীয় ইনিংসেও

নাঈমের জোড়া আঘাত

প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেট পাওয়া হয়নি। প্রথম দিন চার উইকেট পাওয়ার পর দ্বিতীয় দিনে তো তেমন ‍সুযোগই পাননি। এবার কী তবে দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেয়ার পণ করে এসেছেন নাঈম হাসান? তা ভাবতে দোষ নেই। মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরির পর ২৯৫ রানের লিড নিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। 

দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম ওভারে তার হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক মুমিনুল হক। প্রথম বলে ডট দেয়ার পর পরের দুই বলেই উইকেট নিয়েছেন এই অফস্পিনার। 

 

মুশফিকুর রহিমের ডাবল

বাংলাদেশের ইতিহাসে সেরা ব্যাটসম্যান কে? এমন প্রশ্নে মুশফিকুর রহিমের নাম বলতে যেটুকু দ্বিধা কাজ করবে, সেটা তামিম ইকবালের জন্যই। তবে সাদা পোশাকের ক্রিকেটে অনেকের কাছেই মুশফিকুর রহিমই থাকবেন এগিয়ে। সেটা কেন রাখা হয়, তা যেন আরও একবার জানান দিলেন তিনি। 

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২০০ করে নিজের মাহাত্ম জানালেন মুশফিক। তার ডাবল সেঞ্চুরির পরই ইনিংস ঘোষণা করে বাংলাদেশ। ৬ উইকেটে ২৬০ রানে ইনিংস ডিক্লেয়ার করেন মুমিনুল হক। ২৯৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নামবে জিম্বাবুয়ে।

ফিরলেন লিটন

লিটন দাসকে বলা হয় দেশের অন্যতম প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান। যদিও সেটা খুব কম সময়েই প্রমান করতে পেরেছেন তিনি। দারুন সব ইনিংসের সমাপ্তি ঘটেছে বাজে শটে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টেও ফিফটি করেছেন এই ব্যাটসম্যান। কিন্তু এরপরই ঘটে তার ইনিংসের সমাপ্তি। ৫৩ রান করে সাজঘরে ফেরত গেছেন তিনি। অন্যদিকে আরও একটি ডাবল সেঞ্চুরির অপেক্ষায় আছেন মুশফিকুর রহিম। ১৮৯ রান করে অপরাজিত তিনি। 

মুশফিকের দেড়শ

অথচ এই টেস্টে খেলা নিয়েই শঙ্কা ছিল মুশফিকুর রহিমের। ভারসম্য রক্ষায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মুশফিককে না রাখার কথাও বলেছিলেন প্রধান নির্বাচক। শেষ পর্যন্ত খেলেছেন তিনি। এবং প্রমান করেছেন কেন তাকে দলে দরকার। লাঞ্চের পরপরই সেঞ্চুরি তুলে নেয়ার পর এবার দেড়শও করে ফেলেছেন তিনি। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অপরাজিত আছেন ১৫৪ রানে। ৫ উইকেট হারিয়ে ৪৫৭ রান। 

চা বিরতি 

লাঞ্চের আগে কেবল এক রান দূরে দাঁড়িয়েছিলেন সেঞ্চুরি থেকে। তখনই যেতে হলো মধ্যোহ্নভোজে। সেখান থেকে ফিরে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের সপ্তম সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। এবার চা বিরতির আগে মুশফিক দাঁড়িয়ে আরও একটি মাইলফলকের সামনে। দেড়শ রান করতে তার প্রয়োজন আর ৭ রান। 

এর মধ্যে হারিয়ে ফেলেছেন মুমিনুল হক ও মোহাম্মদ মিঠুনের উইকেট। ৯ রান করে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে অপরাজিত থেকে চা বিরতিতে গিয়েছেন লিটন দাস। ৫ উইকেট হারিয়ে এখনো চা বিরতি পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৪৪২ রান। 

মুমিনুলের সেঞ্চুরি

দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৯ সেঞ্চুরির মালিক তামিম ইকবাল। দুর্দান্ত শতক দিয়ে সেই রেকর্ডে ভাগ বসালেন মুমিনুল। ক্রিকেটের লংগার ভার্সনে এখন পয়েট অব ডায়নামোর সেঞ্চুরি সংখ্যাও ৯টি।

টেস্ট অধিনায়দের দায়িত্ব কাঁধে নেয়ার পর সেঞ্চুরি দেখা পাননি মুমিনুল হক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে সেই সেঞ্চুরি দেখা পেলেন তিনি। অধিনায়ক হিসেবে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি করেছেন মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে।  

এমএইচবি