• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: মার্চ ১২, ২০২০, ০২:৩৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ১২, ২০২০, ০২:৩৫ পিএম

চ্যাম্পিয়নদের বিদায় করে শেষ আটে লিভারপুল

চ্যাম্পিয়নদের বিদায় করে শেষ আটে লিভারপুল

নিয়তি বুঝি এমনই নির্মম। যেই লিভারপুল গত মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জয়ী, তারাই কিনা এবার বাদ পড়লো শেষ ষোলোতে। তাও আবার যেখানে অপ্রতিরোধ্য হয়েছিল ইয়্যুর্গেন ক্লপ শিষ্যরা, সেই অ্যানফিল্ডে অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদের কাছে ৩-২ গোলে হেরে। এর আগে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে অ্যাতলেটিকোর মাঠ থেকে ১-০ গোলে হেরে আসে লিভারপুল। 

নিজেদের মাঠে প্রথমার্ধের একেবারে শেষে জিওর্জিনো ভাইনালডামের হেড করা গোলে অল রেডসরাই লিড নেয়। কিন্তু নির্ধারিত সময় পর আর কোনো গোল না হলে দুই লেগ মিলিয়ে দুদলের স্কোর সমান হয়। ফলে অতিরিক্ত সময়ের বাঁশি বাজান রেফারি। আর সেখানে রবার্তো ফিরমিনো গোল করলে আবারও লিড নেয় লিভারপুল। কিন্তু লরেন্তের জোড়া গোল ও আলভারো মোরাতার জয়সূচক গোলে উৎসব করেই মাঠ ছাড়ে অ্যাতলেটিকো।

এ ম্যাচ হারের ফলে ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে টানা ৪৩ ম্যাচ পর পরাজয় দেখল লিভারপুলের। যদিও এদিন প্রথম মিনিটেই লিড নেওয়ার সুযোগ ছিল অ্যাতলেটিকোর। তবে দিয়েগো কস্তার করা শট অল্পের জন্য বঞ্চিত হয়। কিন্তু এরপরের গল্পটা লিভারপুল ও ওবলাকের। স্বাগতিক তারকাদের একের পর এক শট ঠেকিয়ে দেন তিনি। ১৪তম মিনিটে ম্যাচে অ্যালেক্স অক্সলেইড-চেম্বারলেইনের শট ফিরিয়ে দেন ওবলাক। ৩৪তম মিনিটে পরাস্ত করেন সাদিও মানেকে।

পরে ৩৬তম মিনিটে ফিরমিনোর শট রুখে দেন ওবলাক। অবশেষে ৪৩তম মিনিটে নিজেই পরাস্ত হন। চেম্বারলেইনের ক্রস পেয়ে ভাইনালডাম গোল করতে কোনো ভুল করেননি।

বিরতির পরও নিশ্চিত গোল রক্ষা করেন ওবলাক। ৫৪তম মিনিটে চেম্বারলেইনের দূরপাল্লার শট ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান তিনি। তবে ৬০তম মিনিটে লিভারপুল গোলরক্ষক আদ্রিয়ানও দারুণ একটি সেভ করেন। হোয়াও ফেলিক্সের শট ঝাঁপিয়ে এক হাতে ঠেকানোর পর ফিরতি বলে আনহেল কোররেয়ার শটও রুখে দেন।

ওবলাক আবারও ত্রাতা হয়ে আসেন। তিনি মিনিট পর অক্সলেইড-চেম্বারলেইনের দূরপাল্লার শট দারুণ দক্ষতায় ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন। তবে যোগ করা সময়ে ফ্রি কিক থেকে সাউল নিগেস হেডে বল জালে পাঠালেও, অফসাইডের কারণে গোল হয়নি। ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।

আর অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই ব্যবধান বাড়ান ব্রাজিল তারকা ফিরমিনো। ৯৪তম মিনিটে ভাইনালডামের ক্রস থেকে হেড করলেও তা পোস্টে লেগে ফিরে আসে। কিন্তু ফিরতি বলে জালের দেখা পেয়ে যান। ৯৭ মিনিটে অবশ্য ব্যবধান কমায় সফরকারীরা। ফেলিক্সের পা থেকে বল পেয়ে সহজেই গোলের দেখা পান বদলি হিসেবে খেলতে নামা মার্কোস লরেন্তেকে।

আর অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধের যোগ করা সময় নিজের জোড়া গোল পূর্ণ করে লিভারপুলের বিদায় প্রায় নিশ্চিত করে দেন লরেন্তে। অন্যদিকে ম্যাচের শেষ সময়ে প্রতি আক্রমণ থেকে বল পেয়ে কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন মোরাতা।

এমএইচবি