• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুন ৩০, ২০২০, ০৮:৩৩ এএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ৩০, ২০২০, ০৮:৩৩ এএম

বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি

উদ্ধারকৃত ৩২ মরদেহের মধ্যে ৩০টির পরিচয় শনাক্ত

উদ্ধারকৃত ৩২ মরদেহের মধ্যে ৩০টির পরিচয় শনাক্ত
দুর্ঘটনার পর মরদেহ উদ্ধারের তৎপরতা- সংগৃহিত

সোমবার (২৯ জুন) রাজধানীর শ্যামবাজার এলাকা সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতদের মধ্যে পুরুষ ২১ জন, নারী ৮ জন এবং ৩ জন শিশু।
এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৩০ জনের পরিচয় মিলেছে। তবে এখনও মৃত দু’জন পুরুষের পরিচয় জানা যায়নি।

পরিচয় পাওয়া মৃত ৩০ জনে হলেন- সত্যরঞ্জন বনিক (৬৫), মিজানুর রহমান (৩২), শহিদুল (৬১), সুফিয়া বেগম (৫০), মনিরুজ্জামান (৪২), সুবর্ণা আক্তার (২৮), মুক্তা (১২), গোলাম হোসেন ভুইয়া (৫০), আফজাল শেখ (৪৮), বিউটি (৩৮), ছানা (৩৫), আমির হোসেন (৫৫), মো. মহিম (১৭), শাহাদাৎ (৪৪), শামীম ব্যাপারী (৪৭), মিল্লাত (৩৫), আবু তাহের (৫৮), দিদার হোসেন (৪৫), হাফেজা খাতুন (৩৮), সুমন তালুকদার (৩৫), আয়শা বেগম (৩৫), হাসিনা রহমান (৪০), আলম বেপারী (৩৮), মোসা. মারুফা (২৮), শহিদুল হোসেন (৪০), তালহা (২), ইসমাইল শরীফ (৩৫), সাইফুল ইলাম (৪২), তামিম ও সুমনা আক্তার।

সদরঘাট নৌ থানার ওসি রেজাউল করিম ভূঁইয়া জানান, মরদেহগুলোর ময়নাতদন্তের জন্য মিটফোর্ড হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ নারী ও ৩ শিশুসহ ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩০ জনের পরিচয় মিলেছে। তবে এখনও কতজন নিখোঁজ রয়েছেন, তা স্পষ্ট নয়। এখনও পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএর কর্মীরাও উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছেন।

দুর্ঘটনার দিন (সোমবার) সকাল ৯টার দিকে মুন্সিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা দোতলা মর্নিং বার্ড লঞ্চটি সদরঘাট কাঠপট্টি ঘাটে ভেড়ানোর আগ মুহূর্তে চাঁদপুরগামী ময়ূর-২ লঞ্চটি ধাক্কা দেয়। এতে সঙ্গে সঙ্গে তুলনামূলক ছোট মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়। লঞ্চডুবির ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত একজনকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এদিকে দুর্ঘটনার স্থান এবং উদ্ধার কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় তিনি বলেন, ‘সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে মনে হয়েছে এটি দুর্ঘটনা নয়, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। এ ক্ষেত্রে লঞ্চ মালিকদের গাফিলতি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হবে। এজন্য সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাত দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’

এসকে