• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৫, ২০২০, ১১:২০ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৫, ২০২০, ১১:২০ এএম

রাশিয়া বিশ্বকাপ ফাইনালের ‘রিম্যাচ’ 

রাশিয়া বিশ্বকাপ ফাইনালের ‘রিম্যাচ’ 

রাশিয়া বিশ্বকাপের দুই ফাইনালিস্ট আবারো মুখোমুখি। দুই বছরের ব্যবধানে লুঝনিকি স্টেডিয়ামের বদলে এবার ভেন্যু স্তাদিওন মাক্সিমির; দর্শকভর্তি স্টেডিয়ামের বদলে ছিল ফাঁকা গ্যালারি। বিশ্বকাপ নয়, এবার উয়েফা নেশন্স লীগে এই ২ দল একে অন্যের প্রতিপক্ষ। তবুও টিভি সেটের সামনে দর্শকরা ফ্রান্স ও ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচটিতে বিশ্বকাপ ফাইনালের পুনঃমঞ্চায়ন ধরে নিয়েই দেখার জন্যই বসেছিলেন।  

বিশ্বকাপের ফাইনালে ৪-২ গোলে জিতেছিল ফ্রান্স। নেশন্স লীগের প্রথম দেখায় ক্রোয়েশিয়াকে একই ব্যবধানে হারিয়েছিল দিদিয়ে দেশমের দল। টানা ২ ম্যাচে একই ব্যবধানে ফরাসিদের জয়ের ফলে ক্রোয়াটদের বিপক্ষে তাদের ম্যাচ মানেই এখন সবাই ধরেই নেয় রাশিয়া বিশ্বকাপ ফাইনালের হুবহু পুনঃমঞ্চায়ন। তবে গত বুধবার রাতে ‘এ’ লীগের ৩ নম্বর গ্রুপের জমজমাট এক লড়াইয়ে ম্যাচে ২-১ গোলে জিতেছে ফ্রান্স। এই জয়ের ফলে তারা ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে টানা ৮ ম্যাচ অপরাজিত থাকার কীর্তি গড়েছে।  স্কোরলাইনে মিল না থাকলেও ফ্রান্সের জয়ের ধারা বিচারে বিশ্বকাপ ফাইনালের রিম্যাচ হয়েছে, এ কথা বলাই যায়। 

ম্যাচের ৮ মিনিটে এক ক্রোয়াট ডিফেন্ডার বল বল ক্লিয়ার করতে গিয়ে দুর্বল শট করে বসলে বল পেয়ে যান বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড আঁতোয়ান গ্রিজম্যান। তার বাম পায়ের দুরন্ত গতির শটে বল জালে জড়ালে অতিথি দল লিড পায়। ৭ মিনিট পর অ্যান্থনি মার্সিয়ালের পাসে বল পেয়ে পিএসজি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে গোলপোস্ট ফাঁকা পাওয়ার পরও ডান পায়ের শটে তিনি অবিশ্বাস্যভাবে লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। 

প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে আক্রমণাত্মক খেলতে থাকা ক্রোয়েশিয়া অল্পের জন্য গোল পায়নি। গ্রিজম্যানের ফ্রি কিক থেকে বল পেয়ে ক্লেমেন্ট লেঙ্গেল্টের নেয়া হেড পোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।

বিরতির পর আক্রমণের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা স্বাগতিকরা ৬৪ মিনিটে এসে গোলের দেখা পায়। জোসিপ ব্রেকালোর পাস পেয়ে প্রতিপক্ষের ৩ ফুটবলারকে কাটিয়ে 
ডি-বক্সের ভেতর থেকে ডান পায়ের দারুণ ফিনিশিংয়ে বল জালে পাঠান নিকোলা ভ্লাসিচ। 
এরপর গোল পেতে মরিয়া ফ্রান্স একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। ৭৯ মিনিটের সময় লুকাস দিগনের কাছ থেকে বল পেয়ে প্রথমার্ধে সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করা এমবাপ্পে এক ক্রোয়েশিয়ান ডিফেন্ডারকে দৌড়ে পেছনে ফেলে ডান পায়ের শটে ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেন। ফ্রান্স আবারো এগিয়ে যাওয়ার পর খেলার বাকি সময়ে কয়েকটি সুযোগ পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি ক্রোয়েশিয়া। 

ম্যাচ শেষে এক টিভি সাক্ষাৎকারে ফ্রেঞ্চ কোচ দিদিয়ে দেশম বলেন, আমরা জানতাম সত্যিকারের এক লড়াইয়ে নামতে চলেছি। দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের যা করার দরকার ছিল, তা আমরা করেছি। 

ফ্রান্স ৪ ম্যাচে ৩ জয় ও ১ ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুই নম্বরে রয়েছে। আগের রাউন্ডে তাদের বিপক্ষে ড্র করা পর্তুগালের পয়েন্ট সমান হলেও গোল পার্থক্যে এগিয়ে থেকে শীর্ষে আছে। 
 

এসইউ