• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৬, ২০২০, ১১:৩৯ এএম
সর্বশেষ আপডেট : অক্টোবর ১৬, ২০২০, ১১:৩৯ এএম

ডিপিএলের ভাগ্য নির্ধারণে সিসিডিএমের সভা

ডিপিএলের ভাগ্য নির্ধারণে সিসিডিএমের সভা

শ্রীলঙ্কা সফর বাতিলের পর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন গণমাধ্যমকে ক্রিকেটারদের মাঠে ফেরানো হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী ক্রিকেটাররা দুই দলে ভাগ হয়ে ২টি দুই দিনের ম্যাচের পর এখন তিন দলে ভাগ হয়ে ওয়ানডে ফরম্যাটে প্রেসিডেন্টস কাপ টুর্নামেন্টে খেলছে। এরপর ১৫ নভেম্বর থেকে শুরু হতে পারে পাঁচ দলের একটি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট। 

অথচ করোনার কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার লীগ (ডিপিএল) আবার শুরু হবে কি না- তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা কাটছে না। আর তাতে করে খেলোয়াড়দের আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টিও হুমকির মুখে পড়ে গেছে। মার্চের মাঝামাঝি মাঠে গড়ায় দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের একমাত্র লিস্ট ‘এ’ আসর ডিপিএল। ১৬ ও ১৭ মার্চ প্রথম রাউন্ড মাঠে গড়ানোর পর দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়লে অনির্দিষ্টকালের জন্য লীগ স্থগিত করে বিসিবি।

এবার অবশ্য বিসিবির নির্দেশনা পেয়ে ডিপিএলের আয়োজক, ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস (সিসিডিএম) সভা ডেকেছে। আগামী শনিবার অথবা রোববার বিসিবি পরিচালক ও সিসিডিএম চেয়ারম্যান কাজী ইনাম আহমেদ সভায় এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবেন।

সিসিডিএম সদস্য সচিব আলী হোসেন জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে লীগ নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে। সভায় আমাদের চেয়ারম্যান উপস্থিত থাকবেন।

উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্টস কাপ শুরুর আগে ডিপিএল নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বিসিবি সভাপতি বলেছিলেন, আমরা লীগটা চালু করতে চাচ্ছি। দুটো জিনিস জানতে চাই, ক্লাবগুলো আগ্রহী কি না। ওরা যদি না পারে বা আগ্রহ না থাকে তাহলে কী ফর্মুলায় হবে তা জানাতে হবে। দ্বিতীয়টা হচ্ছে, খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা। খেলোয়াড়দের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হওয়ার ব্যাপারে বায়ো সিকিউরিটি নিয়ে কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছে আর সেটা নিশ্চিত হবে কীভাবে। এটার সুরক্ষা পরিকল্পনটা যদি আমাকে দিতে পারে, তাহলে আমার কোনো আপত্তি নেই।

এরপর গত ১১ অক্টোবর ডিপিএল আবারও শুরুর সম্ভাবনার কথা জানিয়ে নাজমুল হাসান পাপন বলেন, দুই সপ্তাহ আগে আমি একটি প্রস্তাব দিয়েছিলাম, দেখো এটা সম্ভব কিনা। আজকে সুজন (খালেদ মাহমুদ) তো বললো এটা সম্ভব। আমরা আগেই একটি পরিকল্পনা দিয়ে গিয়েছিলাম। সুজন আজকে নিশ্চিত করে বলল, এটা সম্ভব। তারপরেও বিস্তারিত কিন্তু আমি দেখিনি। সম্ভব তো বললে হবে না। আমার কাছে দেখাতে হবে কীভাবে সম্ভব। তবে ও যখন বলেছে সম্ভব, আমি নিশ্চিত যে এটা করা যেতে পারে। আমার ধারণা আমরা করতে পারব। এইটুকু ভরসা ওর উপরে আছে।

তিনি আরও বলেছিলেন,  আমাদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে সব খেলোয়াড়কে এক জায়গায় রেখে বায়ো বাবল তৈরি করে বা ওই পরিবেশের মধ্যে কেই ঢুকতে পারবে না, বের হতে পারবে না। ওই জায়গায় রেখে ওদের থাকা, খাওয়া, অনুশীলন শেষ করা, হোটেলে রাখা। আবার ক্লাবগুলো তো অত দামী হোটেলে রাখতেও পারবে না। এইটার বিকল্প কী করা যায় সেটা ভাবছি। বিকেএসপি খুবই ভালো অপশন। ‍ওদেরকে যে দুটো অপশনের কথা বলেছি এরমধ্যে একটা বিকেএসপি। এখন দেখতে হবে ওটা খালি আছে কিনা, ওখানে রাখা যাবে কিনা। ওখানে একসাথে তিনটা মাঠে খেলা যাবে আশা করি। আমাদের তো তিনটা মাঠই লাগে। কবে হবে বলা মুশকিল। এই সিরিজটা যদি আমরা সফলভাবে করতে পারি, টি-টুয়েন্টি লিগটা করতে পারি, তারপরে এটা। এরপর আর দেরি করার কোনো কারণ নেই।

এসইউ