আগামী জানুয়ারিতে মেলবোর্নে অনুষ্ঠেয় অস্ট্রেলিয়ান ওপেন টেনিস আয়োজন নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। কারণ ইতোমধ্যে অ্যাডিলেডে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের সংক্রমণ অনেকখানি বেড়ে গেছে। ভারতের বিপক্ষে সিরিজের আগে অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের বেশকিছু খেলোয়াড়কে অ্যাডিলেড থেকে সরিয়ে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। 

‘দ্য টেনিস চ্যানেল’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ডিসেম্বরে খেলোয়াড়দের আসার অনুমতি দিবে না ভিক্টোরিয়ার সরকার। তাতে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরুর আগে খুব বেশি সময় পাবে না খেলোয়াড়রা। ১২ জানুয়ারি থেকে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরুর সূচি রয়েছে। তবে পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে তাতে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন টেনিস আয়োজন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কর্তৃপক্ষ আসর শুরুর সময় পিছিয়ে দেয়ার চিন্তা-ভাবনাও করছে। সেক্ষেত্রে আসরটি দুই সপ্তাহ পিছিয়ে যেতে পারে। সবকিছুই ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে বোঝা যাবে বলে মনে করছে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন কর্তৃপক্ষ।

তবে ডিসেম্বরের শেষ দিকে অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের অনুমতি মিললেও সঠিক সময়ে টুর্নামেন্ট শুরু করা যাবে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ডিরেক্টর ক্রেগ টিলে। ইউএস ওপেনের উদাহরন টেনে তিনি বলেন, ‘ইউএস ওপেনের সময় নিউইয়র্কে কোয়ারেন্টাইনে থেকেও অনুশীলন করেছিল খেলোয়াড়রা। এখানেও সেটি করা হবে। তবে সঠিক সময়েই আসর শুরু করা যাবে।’

টিলে আরও বলেন, ‘প্রতিযোগিতাটি পিছিয়ে দেয়া নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এটা বছরের প্রথম গ্র্যান্ড স্ল্যাম প্রতিযোগিতা। এজন্য প্রতিযোগিতাটি আয়োজনে অনেক বেশি প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে।’