• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২০, ১১:০৬ এএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৩, ২০২০, ১১:০৬ এএম

ফেব্রুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস

ফেব্রুয়ারিতে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ গেমসের নবম আসর বসতে যাচ্ছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের মধ্যে আসরটি হতে যাচ্ছে বলে এটির নামকরণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ গেমস। অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

তবে এবার করোনা পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ গেমস সীমিত পরিসরে হতে পারে। প্রায় ১০ হাজার অ্যাথলেটের বাংলাদেশ গেমস করোনাকালে পরিসর কমে প্রায় অর্ধেক হয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ পাঁচ হাজারের কিছু বেশি অ্যাথলেট নিয়ে মুজিববর্ষে হবে এই গেমস। করোনায় জনসমাগম এড়াতে সবগুলো ডিসিপ্লিনের খেলা একসঙ্গে না করার কথা আগেই ভাবা হয়েছে। কোনো কোনো খেলা ঢাকার বাইরেও হতে পারে। এবার খেলোয়াড় সংখ্যাও কমিয়ে আনার সিদ্ধান্তে করোনাকালে বিশেষ এক আসরই হতে যাচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে এখনো কোনো ভবিষ্যদ্বাণী করা না গেলেও ফেব্রুয়ারিতে গেমস আয়োজনের লক্ষ্যেই প্রস্তুতি এগিয়ে নিচ্ছে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ)।

বাংলাদেশ গেমস মানে জাতীয় প্রতিযোগিতা, সবগুলো জেলা, সংস্থা, বাহিনী এতে অন্তর্ভুক্ত। কিন্তু করোনাকালে সবাইকে সুযোগ দিতে পারছে না আয়োজকরা। প্রতিটি খেলারই সর্বশেষ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের র‍্যাংকিং ধরে গেমসে ১০ থেকে ১২টি দলকে সুযোগ দেয়া হচ্ছে গেমসে। ফুটবলে যেমন সর্বশেষ জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্বে ওঠা ১০টি দলই শুধু গেমসে অংশ নেবে। 

হকিতে আবার একটাই হয় আসর। ২০১৭ সালে সর্বশেষ জাতীয় হকি যেমন হয়েছিল ৩২টি দল নিয়ে। ফেডারেশন চেয়েছিল তার ১৬টি দলকে বাংলাদেশ গেমসে সুযোগ দিতে। কিন্তু বিওএ শিথিলতা না দেখানোয় ১২টিতেই সীমিত থাকতে হচ্ছে তাদের। মেয়েদের দল থাকবে ছয়টি। হকিতে মেয়েদের এখনো জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ না হলেও গেমস দিয়েই তা শুরু হচ্ছে।

সাঁতারে পদকের ইভেন্ট ৪২টি। জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ হয় ৫০০-র বেশি সাঁতারু নিয়ে। বিওএ সেখানে তাদের ২০০ জন নিয়ে অংশ নেয়ার কথা বলেছে। হ্যান্ডবলে ৫৫টা জেলা খেলে। আমাকে তো সেটা ১২ দলে নামিয়ে আনতে হচ্ছে। 

দাবায় গতবার (২০১৩ বাংলাদেশ গেমস) দলগত ইভেন্টে ২০টি দল অংশ নিয়েছিল। এবার তা ১০টি হয়ে যাচ্ছে। ভারোত্তোলনের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ হয় প্রায় আড়াই শ খেলোয়াড় নিয়ে। তারা ১০০-তে নামিয়ে আনছে সংখ্যাটা। জানা গেছে, ছেলে ও মেয়েদের ১০টি করে ২০টি ইভেন্ট ঠিকই থাকছে। তবে প্রতি ইভেন্টে পাঁচজনের বেশি অংশ নিতে পারবে না। 

অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সৈয়দ শাহেদ রেজা গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘সামনের দিকে করোনা পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় তা বলা যাচ্ছে না। তাই আমরা আপাতত খেলোয়াড় সংখ্যা কমিয়ে ছোট পরিসরে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পরিস্থিতি ভালো হলে তখন অন্য চিন্তাও করা যাবে।’

এসইউ