• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৮, ২০২০, ০৪:০৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : নভেম্বর ২৮, ২০২০, ০৪:০৯ পিএম

চট্টগ্রামের কাছে বিধ্বস্ত খুলনা  

চট্টগ্রামের কাছে বিধ্বস্ত খুলনা  
লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ক্রিজ ছাড়েন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ফটো: বিসিবি

তারকা সম্পন্ন দল সাজিয়েও নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারছে না জেমকন খুলনা। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বোলারদের দাপটে মাত্র ৮৬ রানেই অলআউট হয় রূপসা পাড়ের দলটি। জবাবে চট্টগ্রাম ১৩.৪ ওভারে মাত্র সৌম্য সরকারের উইকেট হারিয়ে ৯ উইকেটের বড় জয় পায়। 

মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে শনিবারের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে খুলনাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান চট্টগ্রাম অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। এই ম্যাচে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ওপেন করতে নেমেছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে সঙ্গী এনামুল হক বিজয়কে তিনিই প্যাভিলিয়নে পাঠিয়েছেন।

নাহিদুলের বলে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে সাকিবের কল শুনতে না পেরে ক্রিজের ওপর পাশে চলে আসেন এই ব্যাটসম্যান। ফলে তিনি ৬ রানে ফেরেন। খানিক পর এই স্পিনারের বলেই ৩ রানে বিদায় নেন সাকিব। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মাত্র ১ রান করে নাহিদুলের বলে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে ফেরেন।

ইমরুল কায়েস এবং জহুরুল ইসলাম মিলে খানিকটা হাল ধরার চেষ্টা করেন। তবে তাইজুলের বলে স্টাম্পিং হয়ে ফেরেন জহুরুল। ১৪ রানে তিনি বিদায় নিলে ১০ম ওভারে দলীয় সর্বাধিক ২১ রান করে ক্যাচ আউট হন ইমরুল। এরপর দলীয় ৭৩ রনে ১১ রান কর শামিমকে বিদায় করেন মুস্তাফিজ। সেখান থেকে খুলনার ব্যাটসম্যানদের আর সামনে আগাতে দেননি এই পেসার। শহিদুল ইসলামের রান আউট ছাড়া বাকি সবকটি উইকেটই গেছে মুস্তাফিজের খাতায়। মাত্র ৮৬ রানে গুটিয়ে যায় খুলনা।

দুর্দান্ত বোলিং করে ৫ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। নাহিদুল ইসলাম ১৫ রান দিয়ে দুইটি এবং তাইজুল ইসলাম ৩০ রান দিয়ে দুইটি উইকেট পান। 
মাত্র ৮৭ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে লিটন দাস ও সৌম্য সরকার চট্টগ্রামকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন। খুলনার বোলারদের পাত্তা না দিয়ে এই দুই ব্যাটসম্যান সাবলীলভাবে খেলতে থাকেন। দুইজনের ব্যাটেই স্ট্রোকের ফুলঝুরির দেখা মিলেছে, বিশেষ করে লিটনের ব্যাটিং দেখা ছিল চোখের প্রশান্তি। ৪৬ বলে ৯ চারের মারে তিনি ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন। 

চট্টগ্রামের ১০ উইকেটের জয় পাওয়া যখন কেবল সময়ের ব্যাপার ছিল, ঠিক তখনই দলীয় ৭৩ রানের মাথায় রিয়াদের বলে আরিফুল হকের হাতে সৌম্য ধরা পড়েন। ২৯ বলে ৪ বাউন্ডারির মারে তিনি ২৬ রান করেন।  ৫ রান করে লিটনের সঙ্গে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন মুমিনুল হক।