• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১, ০৪:২৩ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২১, ০৪:৩১ পিএম

সত্যিই যদি সাকিব টেস্ট না খেলেন? 

সত্যিই যদি সাকিব টেস্ট না খেলেন? 

প্রশ্নটা শুধু সাকিব আল হাসান নয়, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের যারা ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে অংশ নেন, তাদের সবার জন্যই সত্য। এই তালিকায় আছেন আরেক ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগ বিজয়ী মোস্তাফিজুর রহমান, পাকিস্তান সুপার লিগ এবং ক্যারিবীয় সুপার লিগের নিয়মিত মুখ তামিম ইকবাল, এমনকি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও। দলের এই নিয়মিত মুখগুলো যদি সত্যিই টেস্ট চুক্তির বাইরে থাকে, দল গঠনের ক্ষেত্রে বিসিবির পরিকল্পনা কেমন হতে পারে, সেটিই আলোচনার বিষয়।  

১৮ ফেব্রুয়ারি নিলামে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলার সুযোগ আসার পর সাকিব আইপিএলের সময়ে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিতব্য দুইটি টেস্ট থেকে ছুটি চেয়েছেন। এতে খোদ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সভাপতিও পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, “জোর করে খেলাতে চান না।” দেশপ্রেম নিয়ে যে ধরনের প্রশ্ন এসেছে, তা মোকাবেলা করতে গিয়ে রাজস্থান রয়্যালসে সুযোগ পাওয়া মোস্তাফিজ বলেছেন, “দেশপ্রেম আগে, দেশের ম্যাচ আগে।” তবে এমন সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বেশ কিছু বিষয় কাজ করেছে দুজনের জন্যই।  

দলের নিয়মিত মুখগুলোর কাছে জিম্মি হওয়ার মতো ইঙ্গিত দিয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেছেন, “কিছু খেলোয়াড় আছে, যারা জাতীয় দল বাদ দিয়ে বাইরের লিগে খেলতে চাইলে আমরা না করতে পারি না। আগামী দিনে আমাদের নীতিমালায় কোন খেলোয়াড় কোন ধরনের টুর্নামেন্টে যাবে বা ম্যাচ খেলবে, তা পরিষ্কারভাবে জানানোর সুযোগ থাকবে যেন হঠাৎ এমন অবস্থা তৈরি না হয়।” অথচ এমন অবস্থা এত দিনে বাংলাদেশের জন্য মধুর বিড়ম্বনা হওয়ার কথা ছিল। ক্যারিবীয়দের মতো বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অভ্যন্তরীণ বিষয় খুব বেশি গণমাধ্যমে আসেনি। কিন্তু বিসিবি সভাপতির বক্তব্য থেকে জানা যায়, দলে তিনি হস্তক্ষেপ করলেই নাকি সমন্বয় ঠিক থাকে। 

তিন ফরম্যাটের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান কিছুদিন পরেই ৩৪ বছর বয়সে পা রাখবেন। অন্যদিকে তামিম, মাহমুদউল্লাহর মতো খেলোয়াড়রাও ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের জন্য কতটা বিবেচ্য তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বেশ কয়েকবার। টেস্টে পাঁচ দিনের ফিটনেস ধরে রাখার সামর্থ্য না থাকলে হয়তো তাদের টেস্ট থেকে সরে আসার পরিকল্পনা থাকতে পারে। আফিফ হোসেন ধ্রুব, নাজমুল হোসেন শান্তর মতো খেলোয়াড়রা জাতীয় দলে ঢুকে পড়ার পরেও সৌম্য সরকার, লিটন দাসদের ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে সমস্যায় পড়েছে বিসিবি। 

তাই, সমস্যা শুধু সাকিব দেশের হয়ে টেস্ট খেলা বাদ দিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলবে এমনটি নয়। দলে সবার বিকল্প রাখতে চাইছে বিসিবি। সব মিলিয়ে পাপনের সিদ্ধান্ত স্পষ্ট। সাকিবদের অনুপস্থিতিতে কিছুটা সময় লাগলেও ভালো দল গোছাতে চান তিনি। আসন্ন নতুন চুক্তিতে সবকিছু স্পষ্ট থাকায় তা এমন সমস্যার সমাধান করবে কি না, সেটি দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হতে পারে আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত। তবে সব সমস্যা কাটিয়ে উঠে বাংলাদেশ দল জয়ের ধারায় ফিরুক, এমনটিই কামনা ভক্তদের।