• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ৬, ২০২১, ০৬:৪৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ৬, ২০২১, ০৬:৪৫ পিএম

‘নাৎসি’ খ্যাতি পেয়েছিলেন টনি ক্রুস! 

‘নাৎসি’ খ্যাতি পেয়েছিলেন টনি ক্রুস! 

মেসুত ওজিলের জার্মান দল থেকে চলে যাবার পর বেশ আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছিলো। সতীর্থ টনি ক্রুস একই সময়ে সমালোচনা করেছিলেন। এরপর ওজিলের ভক্তরা ক্রুসকে ‘নাৎসি’ উপাধি দিতেও পিছপা হননি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার জবাবে ওজিল ভক্তদের কাছ থেকে এমন আচরণকে বর্ণবাদ বলে মন্তব্য করেছেন রিয়াল মাদ্রিদের এই তারকা। 

ক্রুস মন্তব্য করেছিলেন, আরও ভালোভাবে বিদায় পাওয়া উচিৎ ছিলো ওজিলের, তবে তিনি সে উপায়ে বিদায় নিয়েছেন তা কাম্য ছিলো না। এরপর ওজিলের ভক্তরা ক্রুসের চেহারা বিশ্লেষণ শুরু করে দেয়। নীল চোখ, চুলের রঙ, শারীরিক গড়ন- সবকিছু মিলিয়ে ক্রুসকে নাৎসি উপাধি দিয়ে বসে তারা। ২০১৮ সালে গ্রুপ স্টেজ থেকে জার্মানি বাদ পড়ার পর অনেকেই ওজিলের সমালোচনায় মেতেছিলেন। এরপর ওজিল হঠাৎ করেই জাতীয় দল থেকে অবসর নেন এবং উক্ত ঘটনাগুলোর সূত্রপাত হয়। 

স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ক্রুস বলেন, “আসলে মেসুত একজন যোগ্য আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব এবং খেলোয়াড় হিসেবে তার আরও ভালোভাবে বিদায় পাওয়া উচিৎ। কিন্তু সে যেভাবে ছেড়ে গেছে তা সমীচীন নয়। মেসুতের মন্তব্যের যে অংশটুকু ঠিক ছিলো, সেগুলো বাজে কথার কারণে ঢাকা পড়েছে। আমার ধারণা সে খুব ভালোভাবেই জানে জাতীয় দলে বর্ণবাদের স্থান নেই।” 

অবশ্য এমন সমস্যার মূল উগ্র ভক্তরাই। যারা জার্মানির হারের জন্য তুর্কি বংশোদ্ভূত ওজিলকে দোষারোপ করতে পারে, তারা দৈহিক গড়ন এবং ওজিলের সমালোচনার জন্য ক্রুসকে নাৎসি উপাধি দিতেও পিছপা হবেনা এটাই স্বাভাবিক।