• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: মার্চ ৮, ২০২১, ০১:৫৯ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : মার্চ ৮, ২০২১, ০২:১৩ পিএম

মেয়েদের খেলা? 

মেয়েদের খেলা? 

লুডু, এক্কাদোক্কা, কানামাছি, বৌচি, গোল্লাছুট, দাড়িয়াবান্ধা, বৌ চুরি ইত্যাদি খেলা নাম শুনলেই চোখে ভেসে ওঠে একদল মেয়ের ছবি? গ্রামবাংলার জনপ্রিয় এই খেলায় সবসময় মেয়েরা অংশ নেয় বলে প্রচলিত আছে। এই প্রচলনের পেছনে গণমাধ্যমের ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না অবশ্য। কিন্তু ছেলেদের খেলা বলে প্রচলিত ক্রিকেট, ফুটবল, মার্শাল আর্টের বিভিন্ন ধরণ যেমন তায়কোয়ান্ডো, কারাতে, দাবা এমনকি অ্যাথলেটিক্সে বাংলাদেশের সুনাম অর্জনে নারী এবং পুরুষের ভূমিকা প্রায় সমান, খালি চোখে যা দেখে বোঝা কঠিন।

বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা হিসেবে এখনও ফুটবলকে ধরা হয়। সেই ফুটবলে বাংলাদেশের মেয়েদের বয়সভিত্তিক দল জিতেছে বেশ কিছু টুর্নামেন্ট। সাফ এবং এশিয়ান ফুটবল কাউন্সিলের আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নের তকমা অর্জন করেছে মারিয়া মান্ডার দল। অন্যদিকে বাংলাদেশের ফুটবলে মেয়েদের লিগ শুরু হয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে। সেখানে বসুন্ধরা কিংসের মেয়েরা মাত্র ১২ ম্যাচে ১১৯ গোল করে রেকর্ড গড়েছে। ফিফায় প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে রেফারির দায়িত্ব পালনের ভার পেয়েছেন জয়া চাকমা। এছাড়াও সেই ফিফায় আছেন মাহফুজা আক্তার কিরণের মতো আলোকদিশারীরা। 

আপাতদৃষ্টিতে সাকিব আল হাসান কিংবা তামিম ইকবালরা তুলনামূলক বেশি বিনিয়োগ সত্ত্বেও একটি আন্তর্জাতিক ট্রফির স্বাদ দিতে পারেননি ভক্তদের। সেই দুঃখ ঘুচিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন সালমারা। ২০১০ এবং ২০১৪ সালে এশিয়ান গেমসে রৌপ্য পদক জয়ের সময় নিজেদের উপস্থিতি জানান দেয়ার পর ২০১৮ সালে জিতে নিয়েছেন এশিয়া কাপ। 

অ্যাথলেটিক্সে নারীদের সাফল্য বাংলাদেশকে তুলে ধরেছে বিশ্বমঞ্চে। ২০১৯ সালে সাউথ এশিয়ান গেমসে ভারোত্তলক মাবিয়া আক্তার সীমান্ত জয় করেছিলেন স্বর্ণপদক। এদিকে জাতীয় খেলা কাবাডিতে ২০১০ সালের এসএ গেমসে রুপার পদক নিয়ে এসেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। ২০১৪ সালে এশিয়ান গেমসে এসেছিল ব্রোঞ্জ। আর্চারিতে সম্প্রতি তারকাখ্যাতি পাওয়া রোমান সানার পাশাপাশি ২০১৯ সালের এসএ গেমসে আর্চারিতে স্বর্ণ জয় করেছিলেন ইতি খাতুন, বিউটি রায়, মেহনাজ মুনিরা, সুমা বিশ্বাস, সুস্মিতা বণিক ও শ্যামলী রায়ের মতো খেলোয়াড়রা। 

খেলার কোনো লিঙ্গভেদ নেই। যেই খেলা পুরুষ খেলতে পারে, একই খেলা নারীরা খেলেও সমান কিংবা তার চেয়ে বেশি সাফল্য অর্জন করতে পারে। কেবল উপযুক্ত পরিবেশ এবং সুযোগ পেলে বাংলাদেশের তরুণীরা দেশের নাম কতটা উঁচুতে তুলতে পারে, সেটি তারা করে দেখিয়েছে। অবকাঠামোগত কোনো কারণ যেন ক্রীড়াঙ্গনের নারীদের পথে বাধা না হয়ে দাঁড়ায় এটি শুধু নারী দিবসে নয়, প্রতিটি নারী ক্রীড়াবিদের প্রতিদিনের প্রত্যাশা।