• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২১, ০১:৩৫ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : এপ্রিল ১১, ২০২১, ০১:৩৫ পিএম

রেকর্ডের পুনরাবৃত্তিতে শীর্ষে উঠলো রিয়াল 

রেকর্ডের পুনরাবৃত্তিতে শীর্ষে উঠলো রিয়াল 

স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদের পঞ্চাশ জনের বেশি খেলোয়াড় ইনজুরি কিংবা করোনা ভাইরাসের কারণে মাঠের বাইরে। এদিকে শেষ সময়ে ক্যাসেমিরোকে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হলে অতিরিক্ত সময়ে রিয়ালের ভরসা ছিলো মাত্র ১০ জন। কিংবা দুই তৃতীয়াংশের বেশি সময় ধরে বার্সেলোনার দখলে থাকা বল- সবকিছু ছাপিয়ে গেছে গতকাল আলফ্রেডো ডি স্টেফানো স্টেডিয়ামে বার্সার বিপক্ষে জিনেদিন জিদানের শিষ্যদের ২-১ গোল ব্যবধানে জয়। 

আর এই জয়ের সুবাদে টানা তিন এল ক্লাসিকোয় রিয়াল মাদ্রিদ হারালো ক্যাম্প ন্যুয়ের তারকাদের। ঠিক ৪৩ বছর আগে সর্বশেষ এমন ঘটনা ঘটেছিলো। ফলে কালকের ম্যাচে নিজেদের গর্বের রেকর্ড আরেকবার পুনরাবৃত্তি করলো স্প্যানিশ জায়ান্টরা। উঠে এসেছে শীর্ষেও।

বল দখলে রাখায় জুড়ি নেই বার্সেলোনার। কিন্তু যখনই রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়রা বল পেয়েছে, আক্রমণে গিয়েছে বারবার। এমনকি জার্মান স্নাইপার টনি ক্রুসের সঙ্গে ব্রাজিলীয় তরুণ ভিনিসাস জুনিয়রের চমৎকার বোঝাপড়া, সঙ্গে দুর্ভেদ্য ডিফেন্স ভেঙ্গে দেয়ার ঘটনা যেন আরেকবার দেখলো ভক্তরা। ১৩তম মিনিটে বার্সেলোনার জন্য দুর্ভাগ্য বয়ে আনলেন কারিম বেনজেমা। লুকাস ভাসকেসের পাসকে এক শটেই জালে জড়ানোর দৃশ্য অনেক দিন চোখে লেগে থাকবে ভক্তদের। 

বেনজেমার এমন আত্মবিশ্বাস পুরো রিয়াল মাদ্রিদ দলেই প্রতিফলিত হয়েছে ম্যাচজুড়ে। ঠিক ১৫ মিনিট পর ভিনিসাস ডি বক্সের ঠিক বাইরেই ফাউলের শিকার হলে ফ্রিকিক নেন টনি ক্রুস। তার শট প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার সার্জিনো ডেস্টের পিঠে লেগে জালে জড়ালে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। অবশ্য ৩৫তম মিনিটে ভালভারদের শট বারে লেগে ফিরলে ব্যবধান বাড়ানোর সৌভগ্য হয়নি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে বেশ শক্তভাবেই ফিরেছিলো রোনাল্ড কোম্যানের শিষ্যরা। ৬০তম মিনিটে অ্যান্টনিও গ্রিজম্যানের পাস থেকে অস্কার মিনগেজার গোল ছাড়া আর বেশি কিছু ঝুলিতে নিয়ে ফিরতে পারেনি বার্সেলোনা। 

এই জয়ে টেবিলের এক নম্বরে উঠে এলো রিয়াল মাদ্রিদ। তাদের সমান ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে দুইয়ে থাকা শহুরে প্রতিপক্ষ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। আর বার্সেলোনা তিনে আছে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে। টানা ১৯ ম্যাচ জয়ের পর আবার হারের স্বাদ পেয়ে মাটিতে পা রাখতে হলো বার্সাকে। তবে চারদিন পরেই লিভারপুলের বিপক্ষে ইনজুরি জর্জরিত জিদানের দল টিকে থাকবে কিনা, সেটিই এখন দেখার বিষয়।