ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগের ১৪তম আসর হেঁটেছে পাকিস্তান সুপার লিগের পথে। পিএসএলের মতো আইপিএলও অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। তবে এমন সিদ্ধান্ত নিতে আয়োজনের সাথে জড়িত এমন খেলোয়াড়, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের মূল্য দিতে হয়েছে করোনা আক্রান্ত হয়ে।
বেশ আতঙ্ক ছড়িয়েছিলো গতকাল, কলকাতা নাইট রাইডার্সের দুজন খেলোয়াড় বরুণ চক্রবর্তী এবং সন্দীপ ওয়ারিয়েরের করোনা পজিটিভ হওয়ার পরেই। দুজনে সারাক্ষণ জৈবসুরক্ষা বলয়ের ভেতরেই ছিলেন, তবে স্ক্যান করানোর জন্য হাসপাতালে যখন ছিলেন তখন সেখানে বলয় নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি। আর এর মধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন তারা। এমন ঘটনার পর সেই হোটেলেই থাকা দিল্লী ক্যাপিটালসের সদস্যরাও অনুশীলন সেদিনের মতো গুটিয়ে নেন এবং আইসোলেশনে থাকার মানসিক প্রস্তুতি নেন।
এরপরেও বিসিসিআই চাইছিলো আইপিএল চালিয়ে নিতে। সমস্যা দেখা দিলো তখনই, যখন চেন্নাই সুপার কিংসের জোইবসুরক্ষা বাবলের অংশ বোলিং কোচ লক্ষ্মীপতি বালাজি, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাসি বিশ্বনাথন এবং একজন বাস পরিচ্ছন্নতা কর্মীরও করোনা পজিটিভ ধরা পড়লো। এর আগেই দিল্লীর অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের পাঁচজন কর্মীর করোনা পজিটিভ ধরা পড়ার পর সেটিকে বেশ গুরুত্ব না দেয়া হলেও ভেন্যু হিসেবে দিল্লীকে রাখা হবে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিলো। কিন্তু কিছুক্ষণ পর স্পিনার অমিত মিশ্র এবং বৃদ্ধিমান সাহার করোনা পজিটিভ আসায় নড়েচড়ে বসে আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
ফলে এখন পর্যন্ত আইপিএল আয়োজনের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত মোট ১২ জনের করোনা পজিটিভ আসার পরেই কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অনির্দিষ্টকালের জন্য আসরটিকে স্থগিত করা হয়েছে।