• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২১, ০৪:০০ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : জুন ১৫, ২০২১, ০৪:০০ পিএম

প্রণোদনার অপেক্ষায় সাকিব, পাওনাদাররা নিরুপায় 

প্রণোদনার অপেক্ষায় সাকিব, পাওনাদাররা নিরুপায় 

২০১৬ সালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরের ৫০ বিঘা জমি লিজ নিয়ে গড়ে তোলা হয় ‘সাকিব আল হাসান অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড’, যেখানে কাঁকড়া চাষ করা হয়। প্রতি বিঘা জমি ১২ হাজার টাকায় লিজ নেন সাকিব এবং তার ব্যবসায়ীক অংশীদার ইমদাদুল হক এবং সাহাগীর হোসেন পাভেল। তবে গত বছরের ডিসেম্বরে চুক্তি শেষ হয়ে গেলেও পুরো টাকা পরিশোধ করা হয়নি, এমনকি পাওনাদাররা সময়ের পরেও বুঝে পাননি জমি। সাকিবও অপারগতা স্বীকার করে জানালেন, অসুবিধায় আছেন তিনিও। 

সাকিবকে সাড়ে পাঁচ বিঘা জমি লিজ দিয়েছিলেন আব্দুল মজিদ। তার ছেলে সাইফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, চুক্তির মেয়াদ শেষেও জমি বুঝিয়ে দেয়া হয়নি। এমনকি এখনও ১৯ হাজার টাকা পাওনা আছে তাদের। ১৭ দশক জমি লিজ দেয়া সুরত আলী গাজী জানিয়েছেন, তিনি এখনও ৬৫ হাজার টাকা পান। তবে বুডিগোয়ালিনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মণ্ডল জানিয়েছেন, তিনি ব্যবসায়ীক অংশীদারদের সাথে কথা বলেছেন এবং তারা বিষয়টির সুরাহা করবেন বলে জানিয়েছেন।

তবে সাকিব প্রণোদনার অপেক্ষায় আছেন। এই বাঁহাতি অলরাউণ্ডার গত শনিবার একটি গণমাধ্যমকে বলেন, “আমাদের লোকসান হয়েছে। মহামারীর কারণে পাঁচ কোটি টাকার অর্ডার বাতিল হয়েছে। সরকারের কাছ থেকে প্রণোদনা ঋণ পেলে ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের পাওনা বুঝিয়ে দিতে পারবো।” ব্যবসায়ীক অংশীদার পাভেল জানিয়েছেন, চট্টগ্রামের একটি পার্টির কাছে ফার্ম ভাড়া দেয়া হয়েছে।  

এর আগেও সাকিবের অ্যাগ্রো ফার্ম আলোচনায় এসেছিলো কর্মীদের বেতন বন্ধ রাখায়। তবে গণমাধ্যমে সমালোচিত হওয়ার পর দ্রুতই সেই সমস্যা সমাধান করেছিলেন সাকিব। সম্প্রতি আলোচনায় থাকা বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার ডিপিএলে অসদাচরণের দায়ে তিন ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি পাঁচ লাখ টাকা জরিমানাও গুনছেন। সব মিলিয়ে সময়টা বেশ কঠিনই যাচ্ছে সাকিবের জন্য।