• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০
প্রকাশিত: আগস্ট ৩, ২০২১, ০৭:৫৬ পিএম
সর্বশেষ আপডেট : আগস্ট ৩, ২০২১, ০৭:৫৬ পিএম

রিয়াদ বাহিনীর মন্থর ব্যাটিং প্রদর্শনী 

রিয়াদ বাহিনীর মন্থর ব্যাটিং প্রদর্শনী 

টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টসে গেরে আগে ব্যাট  করতে নামা বাংলাদেশ ৭ উইকেটে মাত্র ১৩১ রান করেছে। খানিকপর ব্যাট করতে নামবে অজিরা।

মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় মিরপুরে শুরু হওয়া ম্যাচে  চোট কাটিয়ে দলে ফিরেছেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ও তাসকিন আহমেদ জায়গা হারিয়েছেন। দ্বিতীয় পেসার হিসেবে মুস্তাফিজের সঙ্গে আছেন শরিফুল ইসলাম। একাদশে আরও আছেন নাসুম আহমেদ আর অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান।

ইনিংসের প্রথম ওভারে মিচেল স্টার্কের করা দ্বিতীয় বলটি ছিল লেগ স্টাম্পের বাইরে। দারুণ ফ্লিকে বল উড়িয়ে সীমানার বাইরে পাঠিয়ে দিলেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। ছক্কা দিয়ে রানের খাতা খোলা টাইগাররা আশার পালে হাওয়া লাগালেও তা চলে যেতে সময় লাগেনি। 

চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে আগের তিন ম্যাচে দুটি ফিফটি করা সৌম্য সরকার বেশিক্ষণ থাকতে পারলেন না ক্রিজে। জশ হ্যাজেলউডের বল স্টাম্পে টেনে এনে হলেন বোল্ড। জায়গা করে নিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন সৌম্য। শরীর তাক করে আসা বল কাট করতে চেয়েছিলেন তিনি; কিন্তু বল আঘাত হানে স্টাম্পে। ভাঙে ১৫ রানের উদ্বোধনী জুটি। ৯ বলে মাত্র ২ রান করে ফেরেন সৌম্য। 

পঞ্চম ওভারে ওয়েড আবারও বোলিংয়ে নিয়ে আসেন স্টার্ককে। কিন্তু ওভারের দ্বিতীয় বলে আবারও ডিপ কভার পয়েন্টের ওপর দিয়ে ছক্কা হাঁকান নাইম। এরপর পঞ্চম বলে নেন সিঙ্গেল। 

পাওয়ার প্লে'র শেষ ওভারে চতুর্থ বোলার হিসেবে অ্যান্ড্রু টাইকে নিয়ে আসেন ওয়েড। ওভারের তৃতীয় বলে এই পেসারের বাউন্সারে পুল করে বাউন্ডারি হাঁকান নাঈম। পরের বলে নেন ২ রান। ওভারের শেষ বলে আসে সিঙ্গেল। 

সপ্তম ওভারে আবারও জ্যাম্পাকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন ওয়েড। ওভারের প্রথম ৫ বলে মাত্র ৪ রান দেয়া এই লেগ স্পিনারকে শেষ বলে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে বোল্ড হন নাঈম। জ্যাম্পার ফুল লেন্থে ফেলা বলে বোল্ড হয়ে ২৯ বলে ৩০ রান করে ফেরেন তিনি। 

অষ্টম ওভারে অ্যাস্টন অ্যাগারের বিপক্ষে ৪ রান নেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহ। নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে জাম্পাকে সোজা উড়িয়ে চার মারেন সাকিব। পরের বল এজ হয়ে স্লিপের সাইড দিয়ে চলে যায় বাউন্ডারিতে। সেই ওভারে আসে ১০ রান। 

দশম ওভারের তৃতীয় বলে স্লিপে অ্যাস্টন টার্নারের হাতে জীবন পান মাহমুদউল্লাহ। সে সময় তার রান ছিল ৫। ১০ ওভার শেষে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে তোলে ৫৮ রান।

১২তম ওভারের প্রথম বলেই ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মারেন মাহমুদউল্লাহ। তবে ছক্কার মারার বলের বলে আবারও তুলে মারতে গিয়ে ময়সেস হেনরিকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন বাংলাদেশের এই টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।

হ্যাজেেউডের বলে ফেরা মাহমুদউল্লাহ করেছেন ২০ বলে ২০ রান। এরপর ১৫তম ওভারে টাইয়ের স্লোয়ারে থার্ড ম্যানে মিচেল মার্শের হাতে ধরা পড়েন নুরুল হাসান। ৪ বলে ৩ রান করে ফেরেন এই উইকেটরক্ষক। ১৫ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮৯।

১৬তম ওভারে বোলিংয়ে এসে ৭ রান দেন অ্যাগার। ৪ ওভারে ৬'র নিচে ইকোনমি রেটে ২২ রান দিয়ে শেষ করেন তিনি। তখনও ১৬ ওভারে দলীয় ১০০ পার করতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৬তম ওভারের চতুর্থ বলে হ্যাজেলউডকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে স্বাগতিকদের ১০০ পূরণ করেন আফিফ।

সেই ওভারের শেষ বলে হ্যাজেলউডকে সামনে এগিয়ে স্লগ করতে গিয়ে ইনসাইড এজে বোল্ড হন সাকিব। ৩৩ বলে ৩৬ রান করে বিদায় নেন তিনি। ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন অজি এই পেসার।

১৮তম ওভারের শেষ বলে দারুণ এক ইয়র্কারে শামিম পাটুয়ারিকে ৪ রানে বোল্ড করেন স্টার্ক। এরপর ক্রিজে নেমে আফিফকে সঙ্গ দেন শেখ মেহেদি। ১৯ ওভার শেষে ৬ উইকেটে বাংলাদেশের স্কোর তখন ১২০।

শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসা স্টার্ককে রিভার্স স্কুপে ৪ মারেন আফিফ। এরপরের বলে এই পেসারের ফুল টসে বোল্ড হলেও আম্পায়ার নো বল দেন। সঙ্গে বাংলাদেশ পায় ৩রান।

তবে ফ্রি হিটে আকাশে বল তুলে মাত্র এক রান নিতে পারেন আফিফ। এরপর পঞ্চম বলে আসে এক রান। ইনিংসের শেষ বলে ইয়র্কারে বোল্ড হন আফিফ। এর মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ৫০ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েন অজি এই পেসার।