অনেকেই হয়তো অনুমান করছিলেন বল হাতে ভেল্কি দেখিয়ে ৩ উইকেট পাওয়া মুস্তাফিজুর রহমানের হাতেই উঠবে ম্যাচ সেরার পুরস্কার। তবে সেটি হয়নি। ১২২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে গিয়ে ৬৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারে পড়া দলকে টেনে তোলা আফিফ হোসেন ধ্রুবই হয়েছেন ম্যাচ সেরা। নুরুল হাসান সোহানকে নিয়ে ৪৪ বলে ৫৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে আফিফের ৩১ বলে ৩৭ রানের ইনিংসের মাহাত্ত বিন্দুমাত্র কম নয়; বরং তা অনেক বিশাল।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও নিজের পরিপক্কতার পরিচয় দিয়েছেন আফিফ। তিনি বলেন, ভাবছিলাম আমার শেষ পর্যন্ত (উইকেটের) মাঝখানে থাকা উচিৎ। রানরেট যাই হোক আমি জানতাম আমি সামলাতে পারব। আমাদের কেবল শান্ত থাকতে হয়েছিল এবং চারপাশে নক করতে হয়েছিল। পরিকল্পনাও এমনই ছিল।
তরুণ ক্রিকেটারদের পারফর্ম করা নিয়ে চারপাশে সবার চলছিল হাহুতাশ। জিম্বাবুয়ে সফরে সেই হতাশা থেকে বের হয়ে আসার ইঙ্গিত মিলেছে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তামিম-মুশফিক-লিটনদের ছাড়াই ২-০ ব্যবধানে রফিয়ে টাইগাররা। তারপরও তরুণ ক্রিকেটার হওয়াকে কোনো বিষয়ই মনে করেন না আফিফ। তার ভাষ্য, আপনি তরুণ বা সিনিয়র তা কোনো ব্যাপার না, শুধু দলের নিজের কাজটা করতে হবে।