টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের খেলা চরম অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে। দেশটির ক্রিকেটাররা যদি আফগানিস্তানের পতাকা নিয়ে খেলতে নামেন, তাহলে কোনো সমস্যা নেই। তবে তালেবানের পতাকা নিয়ে তাদের খেলতে বাধ্য করা হলে তা হলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের খেলা আইসিসি নিষিদ্ধ করতে পারে বলে ব্রিটেনের দৈনিক টেলিগ্রাফ তাদের খবরে বলেছে।

টেলিগ্রাফ তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, হামিদ শিনওয়ারিকে সরিয়ে তালেবান তাদের ঘনিষ্ঠ নাসিব জাদরান খানকে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান হিসেবে বসিয়েছে। এর ফলে তালেবান বার্তা দিয়েছে, দেশের ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রণও তাদের হাতে থাকবে। আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও প্রচার পেতে এবং নজর কাড়তে তারা ক্রিকেটারদের হাতে তালেবানের পতাকাই ধরাবে। সেটা হলে বিশ্বকাপ থেকে আফগানিস্তানকে হয়তো বাদ দিয়ে দেবে আইসিসি।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে আর এক মাসও বাকি নেই। নিয়ম অনুযায়ী, অংশগ্রহণকারী সব দেশকে তাদের জাতীয় পতাকা আগে থেকে জানিয়ে দিতে হয়। আফগানিস্তান কী করবে, এখনও জানা যায়নি। তাদের নিয়ে যথেষ্ট চাপে রয়েছে আইসিসি। আফগানিস্তান যদি তালিবানের পতাকা নিয়ে খেলতে নামে, তা হলে আদৌ তাদের খেলতে দেয়া হবে কিনা, তা নিয়ে কড়া প্রশ্নের মুখে পড়বে আইসিসি। আফগানিস্তান নিয়ে তাদের নীতি কী, তা পরিষ্কার করে জানানোর জন্য অন্য সদস্য দেশগুলো আইসিসির উপর চাপ দেবে। 

টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শুধু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে না দেয়াই নয়, আইসিসি হয়তো আফগানিস্তানের সদস্যপদই বাতিল করে দেবে। অর্থাৎ বিশ্ব ক্রিকেট থেকে বের করে দেয়া হবে আফগানদের। আইসিসির ১৭ জন বোর্ড সদস্যের মধ্যে ১২ জন যদি আফগানিস্তানের সদস্যপদ খারিজের পক্ষে ভোট দেন, তাহলে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থাকে সেটিই করতে হবে।

আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী, তাদের প্রত্যেকটি পূর্ণ সদস্যের দেশকে মহিলাদের জাতীয় দলও রাখতে হবে। এই বছরই আফগানিস্তানের মহিলা ক্রিকেট দল তৈরির কথা ছিল। কিন্তু তালেবান সে দেশের ক্ষমতা দখল নেয়ার পর সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গিয়েছে। তালেবান জানিয়ে দিয়েছে, তাদের দেশে মহিলাদের খেলার কোনো অধিকার নেই। অস্ট্রেলিয়া ইতোমধ্যেই হুমকি দিয়ে রেখেছে, আফগানিস্তান যদি তাদের মহিলা দল তৈরি না করে তা হলে তারা সেখানে টেস্ট খেলতে যাবে না।

আফগানিস্তান এ বার সরাসরি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। ভারত, পাকিস্তান এবং নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে তারা গ্রুপ ২-এ রয়েছে। এর সঙ্গে যোগ্যতা অর্জন পর্ব থেকে আসা দুটি দল যোগ হবে। ২৫ অক্টোবর আফগানিস্তানের প্রথম নামার কথা।