অবশেষে দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে পিএসজির জার্সিতে গোলের দেখা পেলেন লিওনেল মেসি। একইসঙ্গে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের গ্রুপপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত খেলতে থাকা ম্যানচেস্টার সিটিকে ২-০ ব্যবধানে হারাল ফরাসী জায়ান্টরা।

গত মঙ্গলবার রাতে পার্ক দেস প্রিন্সেসে অনুষ্ঠিত ম্যাচের  ৭ মিনিটের মাথায় ইদ্রিসা গেয়ির গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। নেইমার জুনিয়রের ফ্লিক থেকে দুর্দান্ত এক বুলেট গতির শটে সিটির জাল খুঁজে নেন সেনেগালিজ এ মিডফিল্ডার। 

২৮ মিনিটে গোলের সুযোগ পেলেও ভাগ্য সহায় হয়নি সিটিজেনদের। রাহিম স্টার্লিংয়ের দুর্দান্ত এক শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসার পর ফিরতি শটে বার্নান্দো সিলভাও একই কাজ করেন।  

৩২ মিনিটে জোয়াও ক্যানসেলোর বুলেট গতির শট ঝাপিয়ে রুখে দেন পিএসজি গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি দোনারুম্মা। পাঁচ মিনিটে আবারও স্বাগতিকদের জালে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান ইতালিয়ান এ তারকা। 

বিরতির পর খেলতে নেমে আগের মতোই বল দখলে এগিয়ে থাকে সিটি। কিন্তু ফরাসি জায়ান্টদের রক্ষণদেয়াল কোনোভাবেই ভেদ করতে পারছিল না তারা। বারবার সুযোগ হাতছাড়া করতে থাকা সিটির জালে ৭৪ মিনিটে পিএসজির হয়ে প্রথম গোলের দেখা পান লিওনেল মেসি। দুর্দান্ত এক গোল করে স্কোরলাইন দ্বিগুণ করেন আর্জেন্টাইন এ ফরোয়ার্ড। মাঝমাঠ থেকে বল টেনে নিয়ে ডি বক্সের সামনে এমবাপ্পের সঙ্গে পাস দেয়া নেয়ার সুযোগে দুর্দান্ত এক শটে সিটির জাল খুঁজে নেন ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী এ তারকা।  

এ গোল পেয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ম্যানসিটির বিপক্ষে সর্বোচ্চ সাত গোল করার রেকর্ড গড়েন তিনি। এছাড়া ইংলিশ ক্লাবগুলোর বিপক্ষে ৩৫ ম্যাচে ২৭ গোল করার মালিকও বনে যান তিনি।  

শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে থাকলেও আক্রমণ করতে পিছু হটেনি সিটিজেনরা। কয়েকটি ভয়ঙ্কর আক্রমণ করলেও আর গোলের দেখা পায়নি গার্দিওলার শিষ্যরা।

‘এ’ গ্রুপের হয়ে ২ ম্যাচে ১ জয় ও ১ ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে রয়েছে পিএসজি। সমান ম্যাচে সমান পরিসংখ্যান নিয়ে দুইয়ে রয়েছে ক্লাব ব্রুজ। অপরদিকে ১ জয় ও ১ হার নিয়ে তিনে রয়েছে ম্যানসিটি। দুই ম্যাচের দুটিতেই হেরে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে অবস্থান করছে আর বি লাইপজিগ।